তেমাথার মোড়ে বসে থাকে রোজ উদাসী সজীব
পরনে টি-শার্ট থ্রি-কোয়াটার; মুখে সিগারেট
এলোমেলো চুল যত্নবিহীন মাকড়োসা জাল
লাজুক চোখে ডুবে থাকে ঘোর প্রেমের নেশায়।
এ পথ দিয়েই স্নিগ্ধার হয় রোজ যাতায়ত
সদ্য ষোড়শী চঞ্চলতায় সমুদ্র ঢেউ।
যৌবন তার লুকোচুরি খেলে ঠোঁটের রেখায়
চোখের গভীরে ডুব দিয়ে আছে বিশাল আকাশ।
নারী যে হেয়ালী বড়ো জাদুকারী আজব সৃষ্টি
তাঁর মন বোঝে সাধ্য কাহার? কোন পুরুষের?
সব দৌড় এসে এখানে পাকায় রহস্যজট
বোঝেনা কবি, উপন্যাসিক; কোন জ্ঞানীগুণী।
'দেখে মনে হয় বন থেকে আসা উল্লুক কোন
মানুষের ভীড়ে ঘুরঘুর করা বন্যমানুষ।'
ক্ষীণ স্বরে তীক্ষ্ন বাক্য প্রেমের ইশারা
ঠোঁটে ফুটে উঠে হেয়ালী হাসি সেই চপলার।
দিন কয় পর স্নিগ্ধার মুখোমুখি দাড়িয়ে সজীব
'তোমার পরশে উল্লুক হবে নিমিষে মানুষ।'
হাত-পা তার ঠকঠক করে কাপছে ভীষণ;
মাথা নিচু করে স্নিগ্ধা খায় হেসে লুটোপুটি।