তৃষ্ণার্ত কণ্ঠনালী শুঁকিয়ে কাঠ।
ঠোসা পড়ে গ্যাছে পায়ের পাতায়।
আমি এক মরুপ্রদেশ ভ্রমণের পর—
তোমার শহরে আনমনে ঢুকেছি।
তোমার শহরে পা রাখা মাত্র অনুভূত হলো যে—
চোখ লালায়িত হবে বুঝি এখুনি।
কণ্ঠের তৃষ্ণা নিমিষেই হারিয়ে গেলো, এই—
আবীর মাখা বসন্তের ছোঁয়ায়।
ফুলে ফুলে ছেয়ে গ্যাছে পথ-ঘাট।
দূর থেকে ভেসে আসা ফুলেল সৌরভের দিকে নাক টানতেই বোধহয় পেয়েছিলাম তোমার চিরচেনা অমরত্বের ঘ্রাণ।
যে ঘ্রাণ আমাকে আজও ভাবায়।
তোমাকে সেদিনই প্রথম দ্যাখেছিলাম।
যখনি তোমার দ্যাখা পেলাম— ঠিক তখনি আমি
মুহূর্তের ব্যবধানে নিশ্চুপ-নিশ্চল-বোবা হয়ে গেলাম।
এক দেখাতেই তোমাকে নিয়ে আমার স্বপ্ন,
মাথা চাড়া দিতে শুরু করলো।
শুরু হলো প্রেমের উদয়।
জমা হতে থাকলো মধুময় স্মৃতি।
বুঝতে শুরু করলাম তোমার প্রতি আমার,
প্রেম হয়ে গ্যাছে এক পাক্ষিক।
বাকী শুধু তোমার অভয়।
সেদিনের পর তোমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বেঁধেছি,
অনেক গান গেয়েছি।
বসন্তের কোকিল না হলেও— তোমার প্রেমে আমি কাবু হয়ে বোকাসোকা ভাবলেশহীন কোকিল তো বনেছি বটেই।