দুঃখ!
আলাদা কিছু কি?
সুখের মতোন দুর্লভ,
আকাঙ্ক্ষার মতো অপূরণীয়-
লোভের মতো পাপী,
পাপীর মতো অন্ধ?
কিছুই তো নয়।
নিত্যদিনের অনুপ্রেরণা,
আশার সমুজ্জ্বল আলো-
ভরসা টুটে যায়, যে সুখের পিপাসায়।
সেখানেই আঠা হয়ে জুড়ে দ্যায়,
যে অন্ধকার দেহ গিলে নেয়, সে-
অন্ধকারে তীব্র হয়ে যে জ্বলে
সে-ই তো দুঃখ!
দুঃখ! তেমন দূরের আপন না,
স্বত্ত্বা রক্তে মিশে থাকা আপন।
পর তো হলো সুখ,
সুখের না থাকা জুড়ে;
ফাঁপা জায়গায় যারা বাসা বেঁধেছে
তারাই আমার চির আপন।
তারা দুঃখ।
দুঃখ চায়,
আমি কাঁদি;
দুঃখের ভীষণ ভারে কখনো কখনো
যমদূত যে ভয় নিয়ে আসে,
যে ভয়ে কাঁপতে থাকে শরীর-মন-
সেভাবেই যেন কাঁপি সারাক্ষণ।
দুঃখ এও চায়,
আত্ম বিসর্জনের ব্রত নিয়ে
মৃত্যুকে ভুলে গিয়ে
যারা অমর হাসা হাসে,
তাদের মতোন করেই
যেন একটুখানি হাসি।
আবার, দুঃখ দ্যাখে আমায়;
দুঃখের দুঃখগুলোকেও বিষণ্ণ করে তুলেছে
তোমার অপ্রেমের বিরহ।