হেমন্তের পড়ন্ত বিকেল, শুভ্র আকাশ, নির্মল বাতাস
অযাচিত মন, ম্লান পাখির কলতানেও মুচকি হাসি নেই।
পুরুষ মনটাই শুকনো পাতার মতো মড়মড়ে নির্বিষ,
বহুদিন হয়নি দেখা, আলিঙ্গনে রঙিন হয়নি মুহূর্ত
দিন সংকুচিত হওয়ার মতো অপেক্ষায় হেমন্তের তরে।
জোনাকির আলোতে আলোকিত হওয়া পুরুষও হারানোর ভয়ে থাকে,
অদম্য শক্তি নিমিষেই কালো মেঘে গ্রাস করে নেয়,
ছন্নছাড়া জীবনকে পাগলে রুপ নেওয়ার তরে থাকে নিশ্চুপ।
অপেক্ষা জীবনকে কুলসিত করবে ভেবেই হারিয়ে যায়!
আর ধৈর্যের তরে পরাজিত হতে হতে হয় ক্লান্ত।
নিশির নিশাচর হয়েও পুরুষ বসন্তের অপেক্ষা করে,
অজ্ঞতা, অপমান, পরাজয়ের গ্লানি বুঝতে দেয় না ঘরে।
সমস্ত সুখের আস্তানা যে ঐ ঘর, মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান,
সেখানে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ চোখের জলে পরিণত হয় না,
ব্যর্থ হয় না কারো ইচ্ছে পুরনে নিজের চেষ্টা।
পড়ন্ত বিকেল যখন ঘনিয়ে আসে অন্ধকারে,
তখনও অপেক্ষায় থেকে স্বপ্ন বোনার নামই পুরুষ।