প্রিয় সুহাসিনী মায়া

আজকের দেওয়া আমার এই চিঠিটা তোমায় নীল খামে দিতে পারলাম না, আজ যে তোমার ঠিকানা অজানা হয়ে গেছে।
বহুকাল খুঁজে খুঁজে আমি যে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পরেছি, ভীষণ যন্ত্রণায় আঁকড়ে ধরেছে আমায়।
এই দিনটার কথা ভুলতে পাড়ছি না কোনভাবে, তোমার কি মনে আছে মায়া?
আজ যে ভালবাসা দিবস! মনে আছে কি মায়া?
তোমায় ভালবাসার আশায় এখনো মন যে হাসায় মিথ্যে অভিনয়ে, ভয়ে কাটে দিন!
কেমন আছো শুধু এতো টুকু জানতে এখনো বেঁচে আছি তুমি কি জানো?
কেন তুলে আনতে পারিনি বিয়ের আসর থেকে, কেন পারিনি করতে নিজের ঘর?
তুমি কি জানো, এই ভালবাসা দিবসেই আমার ভালবাসার মৃত্যু ঘটেছিলো আমার জন্যেই?
হয়তো জানো না, জানো না হয়তো তোমার বাড়ীতে কি ঘটেছিল
হয়তো জানো না, আমার জীবনে কি নেমে এসে ছিলো তোমার থেকে দূরে যেতে

থাক ওসব কথা এখন, এতো প্রশ্নের উত্তর হয়তো নেই
তবে একটি প্রশ্ন মনের মাঝে খুব যে উঁকি দেয়, কোথায় আছো? বেঁচে আছো তো?
জানো! তোমার পছন্দের গোলাপ কিনে রেখেছি গতকাল, আজকে যদি না পাই
রাগ করো না সোনা, বাসি ফুলের গন্ধই আমার এখন ভালো লাগে
ফুলতো আর কখনো দিতে পারবো না, রেখে দিবো ডায়েরীটার পাতার ভাজে
তুমিও কি কিনেছো ফুল তোমার স্বামীর জন্য, নাকি স্বামী নিয়ে এসেছে প্রচন্ড ভালোবাসার টানে।
শুনেছিলাম সে নাকি নাকি মস্ত বড় কবি, তোমার মা'য়ে বলেছিলো
আরো শুনেছিলাম খুব বেশি দরদী, আমায় দরদ দেয়নি তবুও
তোমার মা'য় আরও বলেছিলো তোমার বাবার অসুস্থতার দায়ভার আমাকেই নিতে হবে নয়তো !
আমি বোকার মত চোখের জল ফেলে চলে এসেছিলাম তোমার ভাগ্যটাকে সুখী বানাতে
তাইতো এই ভালবাসা দিবসে অন্যের ঘরে তূলে দেওয়ার অপরাধে নিজেকে অপরাধী করে রেখেছি আপন খেয়ালে,
আমায় ক্ষমা করে দিও একটিবারের জন্য, ভুলে যেতে প্রতিটা দিন ছিলো আমাদের ভালবাসা দিবস

ইতি তোমার হতভাগা প্রেমী