একপশলা বৃষ্টি যেমন মনের মাঝে আবেগি দোলা দিয়ে যায়
শীতল হাওয়া যেমন শরীরের লোমে জানান দেয় উষ্ণতার জন্য
ঠিক তেমনি চোখের পলক পড়তো না ঐ ঝুল বারান্দা থেকে,
নীল শাড়ি আর কাঁচের চুরি পরা এলোকেশী মেয়ে দেখতে দেখতে।
সাদামাটা পোশাক আর লজ্জাবতী চাহনি মুগ্ধতার কারণ
মায়ের বকুনি মাঝে মাঝে হলেও ছিলো না বাবার বারণ।
রাত গভীরে জানালার আলো মনটা ভীষণ টানতো
কাব্য লেখার শখটা তার আমার মন ও বুঝি জানতো
তাইতো দিতাম লুকিয়ে লুকিয়ে ইশারা আর মুচকি হাসি
বোঝাতে চাইতাম সব থেকে বেশি তাকেই ভালোবাসি।
তার পর
চোখের গল্পটা ইশারায় চলছিলো দিনের পর দিন বেশ
হাসি মুখটা বুকভরা আর মনটা ফাল্গুনী পরিবেশ
সময় গড়িয়ে কাজের নেশায় মত্ত যখন ছিলাম
চোখ ইশারা কমার তরে দেখাও কমিয়ে নিলাম
যা ঘটলো তা হোল ভালোবাসার নেশা শেষ
অর্থকড়ি আয়ের তরে ভালো থাকলাম বেশ।
এখন
দেখিনা ঐ বারান্দায় মিষ্টি কাউকে আর, শুধু স্বপ্ন আর স্বপ্ন
ঘোমটা দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়াটাই শ্রেয়
আনাগোনা দেখি অনেকের, বোঝার উপায় নেই
তবে শুনেছি ভালোবাসা নামক শব্দটা শুনতেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ঘর বন্দি, শাসন, বারণের মাঝে বেধড়ক পিটুনি খাওয়াটা অহেতুক
কতটুকু আবেগ তা বলার অপেক্ষা রাখে না
ভালোবাসার গভীরতা বুঝতে যে বেশ দেরি হয়ে গেলো!