আমার আমিত্ব'কে দম্ভের দেয়ালে আবদ্ধ করে
খরস্রোতের বিপরীতে চলে
সবুজের জয়গান লিখতে পারাই তো প্রকৃত জীবন।
কখনোই কোন মুক্তাক্ষর, বদ্ধাক্ষর শিখতে চাইনি আমি,
মাত্রা কিংবা অক্ষরে আমার লেখার হিসেব মিলবে না।
গল্পটা শুনতে চাইতে পারো তবে নিতে পারবে না,
কলম ছোঁয়া ছাড়াই আবোল তাবোল কিছু পাবে।
কবিতাকে পাবে বিলিয়ে দেওয়া কোন দান বাক্সে।
চাইলেই শুনতে পারো নিজে বানানো কিছু কথা ...........
তাল বেতালের গল্প
কদম ফুল আর ডোবায় দুর্গন্ধ পানির আলিঙ্গন
হিজল গাছের দুলনিতে শরীরের শিহরণ
মৌচাকে চুমুক দিয়ে কল্পনার মোহে তৃপ্ত দেহ
শেষবারের মতো এগিয়ে আসে কাছে
চোখের নেশায় শরীরীয় লোভে
বেশ্যা আর বিষে ক্রমেই নীলাভ, অতঃপর ভালবাসা ।
এ পর্বে এতটুকু
পরের পর্বটা একটু ইমোশনাল
জীবনটাই তো একটা ইমোশনের খেলা
টাকাই জীবনের সব,
মোহ মায়ায় লুটে নিচ্ছে সবে
কেউ কেউ বলবে সব কেন ?
হ্যাঁ! এখানেই তো ইমোশনের খেলা
দুর্নীতি, ঘুষ, সুদ, দখল আরও কত কি ?
যারা খায় তারা তো তৃপ্তির ঢেঁকুর গিলছে আর
যারা দিচ্ছে তারা কি জন্য দিচ্ছে ?
নিজেকে একবার প্রশ্ন করে দেখেন ?
বন্ধু বন্ধুকে ঠকাবে, ভাই ভাইকে করবে হত্যা
অথবা বোন চলে যাবে বিরোধী শিবিরে
ভুল বুঝে বাবা মা'কে রেখে দিবে বৃদ্ধাশ্রমে
সব শেষে হাসপাতালেও যাবে স্বার্থ আদায়ে।
ইমোশনের পরে
সীমাহীন আকাশ, নীড়ে ফেরা পাখি আর
সবুজের মেঠো পথ দেখতে থাকবে দর্শক !
যাদের মাঝে কৌতূহল আর অর্থের ঝনঝনানি
তারাও চলে যাবে সময় শেষে
থেকে যাবে চোখের জল ফেলা কিছু আজব মানুষ
সেখানেও চলবে যথারীতি ভালো থাকার লড়াই
কেউ কেউ গিলবে অথবা গালি দিবে
মাঝারিরা সমালোচনা করবে,
তাতীদের তাতীগিরীও চলবে যথারীতি,তবে
প্রকৃত দর্শক হেটে যাবে গল্পের পাতায়, চুড়ায়।
এসব নিয়ে আমি ভাবি না, বসে থাকার সময় নেই
খ্যাপারা এসব ভাবেনা,
তবেই তো কোন এসিস্ট্যান্ট নেই আমার
কবিদের কোন কিছুই লাগে না