কবি বোঝে কবির ব্যর্থতা, তার নিজের পতন
তার চেয়ে কে বল অধিক দেখতে পারে আর
মূর্খ গোর খোদকের মত আজীবন
খুঁড়ে চলে একাকী নিজের কবর।
এই সত্য বল তার চেয়ে কে আর অধিক ভালো জানে?
এই কবির জীবন ! এ কোন সুখের নয়, সুখী মানুষের নয়!
মানুষের হয় না কখনো এই বেমানান, বিধ্বস্ত জীবন
কেবল কবিই জানে এই তার জীবন কতটুকু কষ্টকর
কষ্ট বয়ে বেড়াতে বেড়াতে তার
ভেঙ্গে যায় শিরদাঁড়া, ছিঁড়ে যায় নাড়ি
ঝলসে যায় সমস্ত শরীর
চোখ মুখে পড়ে যেন বিষাদের কালি
ভেঙ্গে যায় বুক, পদক্ষেপ কোথাও মেলে না
কণ্ঠস্বর বেখাপ্পা কর্কশ হয়ে যায়
মনে হয় এ যেন পৃথক মানুষ এক
দুরারোগ্য ব্যাধি র বাহক
সে ভালোই জানে কি সুখ বয়ে বেরানো এই কবির জীবন
একটি মুহূর্ত শুধু জ্বলে উঠা তার পর দীর্ঘ মূকাভিনয়
এই অশ্রুজল কবি ছাড়া কেউ বুঝবে না
বুঝবে না শিশিরের মত ফোঁটায় ফোঁটায় কি?
কবির জীবন সে কোন সুখের নয়
এই ছন্নছাড়া দুঃখের জীবন বয়ে বেড়াতে বেড়াতে
অকাল বার্ধক্য, চোখে ছানি, উপদংশ মনস্তুপ
এর চেয়ে কি পুরস্কার হতে পারে কবির জীবনে ?
এই জীবন নিয়ে সে প্রিয়তমায় কি দিবে বল
দিবে হয়তো নির্বোধের নির্দয় কঠিন দণ্ড
বর্জন হয়ে যায় পরিজনের ভালবাসা
হয় না সন্তানকে নিয়ে দুষ্টুমি আর হাসা
তবুও কবি বেঁচে আছে সহস্র বছর
অবলীলায় লিখে যায় সাহিত্যের পাতায়
অমর হয়ে হয়তো মিলে তার পরিচয়
আমি কবি নই লিখে যাই কবির খাতায়।