নেশাতুর মন তোমার ভাবনায়
কত চাঁদ ডুবে যায, উবে যায় স্বপ্নীল অভিযাত্রার দাপুটে এজলাস।
রাতের জোছনাও হারিয়ে যায় কত শত অভিমানে...
দ্রুপদী চাঁদ হেঁটে বেড়ায় সেতারের টুংটাং শব্দে বিরহী অমীমাংসিত বিনিদ্র রজনীর করিডোরে।
তারারা কয়'না কথা,
ধরেনা বায়না মিলনের সন্ধি পনে।
অহেতুক কৌতুহলী বাতাস!
ডাক হরকরা সেজে উদাস নগরে দেয় বৃষ্টির নিমন্ত্রণ।
যেথায় আমার ফাল্গুন পুড়িয়ে
বসন্তরাও ফেরি করে গোধুলির চরণে।
আমার একলা থাকার অভিজাত মনের চিলেকোঠায়।
তোমার শহরের নির্জন রাত শ্যান দৃষ্টিতে মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
জানো, কত অচেনা গলি পেরিয়ে মোড়ের মাথায়...
যদিও বা তোমার মনের নাগাল পেলাম, স্বপ্নদূতির ভঙ্গুর ভাবলীলায় আচানক খেই হারালাম!
তুমি কখনোই আমার ছিলেনা, ছিলে মুখোশের আবডালে...
মিছেই স্বপ্নালোকের কাল্পনিক অস্তিত্বে কেবলি ভালোবাসার নিস্তরঙ্গ অঙ্কুরোদগম;
অবুঝ মনের সবুজের হাতছানিতে
ঝুল বারান্দার রেলিং ধরে চাঁদের বুকেই এঁকেছিলাম তোমার বনেদি প্রেমিকাবয়ব।
সেই দীঘল পদ্ম পুকুরে
টলটলে স্বচ্ছ জলে ভেসে ওঠে তোমার জলকেলির কল্পিত যৌবন প্রচ্ছদ;
কোনঠাসা লোভাতুর মনোলোভা উচ্ছ্বাস আমায় দোল দেয়...
আমিও আপ্লুত চিত্তে হৃদয়ঙ্গমে কাজল জলে ডুব দিই,
কোথায় তুমি? কোথাও নেই, হারিয়ে গেলে আকাশনীলে।
মিথ্যে হলেও দূরে আছো বলেই কিন্তু বাইনোকুলারে চালাবো আমৃত্যু অনুসন্ধান।