দোকান ম্যানেজার অনেকক্ষণ ধরে বাইরে চেয়ে আছে
ওয়েটারের চিৎকারে থতো-মতো খেয়ে কি কি ?
কাস্টমারের বিল নেন, ইনার ছয়শ আশি আর উনার তিনশ দশ

বির বির করে কি যেন বলে চলে গেলো ওয়েটার
এমনটা আমার চোখে ঝাপসা দেখার মতোই তবুও
বাইরে দৃষ্টি দিয়ে দেখলাম এক বৃদ্ধার ক্ষুধার আকুতি
হাতের পিজ্জাটা নিয়ে দিলাম হাতে
অবাক হলাম তখন যখন অর্ধেকটা খেয়ে রেখে দিলো থলিতে
দোয়া করতে করতে চলে গেলো
কিছু টাকা দিতে চাইলে নিলো না

যখন আবার নিজের ছিটে বসলাম!
ঠিক আগের পিজ্জাটাই পেলাম মনে হলো এবং সাথে ম্যানেজার
পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে চোখ মুছছে!
কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই বললো তিনি আমার বাবা
গত বারো বছর হয়েছে মা হারানোর শোক এভাবেই কাটাচ্ছে
আমাকে শুধু নয়, কাউকে চিনতে পারে না
সরকারী চাকরি ছেড়ে এখানে শুধু বাবার খাবার দেওয়ার জন্য
এভাবেই কেটে যায় দিন

এই রেস্তরাঁর সামনে থেকেই মা'কে কিছু খারাপ মানুষের শিকার
এর পর ধর্ষণ করে রেখে যায় এখানেই

কথাগুলো শুনতে শুনতে নিজের চোখ দিয়ে অঝরে ঝরতে লাগলো পানি
এমন অজানা কত আছে তা কতোটাই জানি? শুধুই প্রশ্ন!