তর্জনী রেখায় ছিল তোমার বীজমন্ত্র
কন্ঠস্বরে ছিল বর্জ্রের গর্জন,
নক্ষত্রমানব হয়ে স্বপ্ন ঢেলে দিলে
বাঙালীর হল স্বাধীনতা অর্জন।
নামল মানুষের ঢল পাহাড়ের চূঁড়া থেকে,
বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেষা গ্রাম থেকে
সারা বাংলাদেশে ।
যুদ্ধের মাঠে মনে হয়েছে সেদিন,
আকাশের সব তারারা গিয়েছিল মিশে।
আগ্নেয়গিরির অগ্নু্ৎপাত হয়েছিল
ক্ষোভের লাভা মিশে।
মানব তরঙ্গ তৈরী করেছে স্ফুলিঙ্গ -
তারপর নক্ষত্রমানব হয়ে মঞ্চে উঠলেন
দীর্ঘকায় এক সুপুরুষ,
বাজালেন সে অগ্নি পুরুষ স্বাধীনতার সুরতরঙ্গ।
কোটি মানুষের ঢল, সবার দৃষ্টিতে কেবল
ভেসে উঠছে একটি মুখচ্ছবি -
আমরা কি তাকে চিনি,
ঠিক সময়ে ঠিক কথাটি বলে ফেললেন তিনি-
"যার যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধ কর
ঘরে ঘরে দূর্গ করে তোল।"
সেদিন থেকে জাতীয়তাবাদের লড়াইয়ে
বাংলার প্রত্যেকটি ঘর দূর্গ হয়ে উঠল,
নয় মাসে বাংলাতে তাই স্বাধীনতার ফুল ফুটল।
প্রত্যেকটি দূর্গের চূড়ায় ছিল
একটি প্রতিচ্ছবি,
যিনি হলেন বাংলার রূপকার,
বাংলার বিদগ্ধ এক কবি।
সব যোদ্ধাদের দিয়েছে প্রেরণা,
শেখ মুজিবের মুখচ্ছবি ।