বাংলার বুকে আসে আষাঢ়
তার সাথে যে শ্রাবণ,
থৈথৈ পানিতে সে
আনতে দেশে প্লাবন।
খাল বিল সব ভরতে জলে
ফুটাতে ফুল শাপলা
তার সাথে সারাক্ষণ ই
আকাশ রাখতে মেঘলা।
হিজল ফুল ভাসিয়ে নিতে
উড়াতে কাঁশফুল
কদমগাছে ফুল ফুাটতে
করে নিতো  ভুল।
যেন নতুন জলে মাছের ঝাক
সুখে সাতার কাটে
মাঝিরা যেন তরী নিয়ে
থাকে পারাপারের ঘাটে ।
তাই এবারের বর্ষা এলো
নিয়ে অথই স্বচ্ছ জল
খুশি হয়ে ডাকছে বিলে
পাতিহাঁসের দল।
হাওয়ায় ভাসে কচুরিপানা
জলে লম্বা চুল,
ভাটির গানে বলে  মাঝি
পাইনা তাদের কূল।
ঈশান কোনের মেঘটা হঠাৎ
বৃষ্টি হয়ে ঝরে,
গরীব যত কষ্টে  তখন
দিন যে কাটায় ঘরে।
দুই দিন যে গত হলো ঘরে
নেই তো খাবার কিছু,
ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদে তাই যে
তারই অবুঝ শিশু।
অতি বর্ষায় বন্যা হয়ে
আসে লোকের ধারে,
সুখ যে তখন মরিচীকা
দুঃখ টা যায় বেড়ে।
ঘুমের ঘোরে হারায় শিশু
কোনো এক অভাগিনী মা,
তার দুঃখে কাঁদে সবাই
মন তো মানে না।
কবি খুঁজে পায় কবিতার ছন্দ
যখন বর্ষা আসে,
একা নয় সে,আনন্দ আর
দুঃখ নিয়ে পাশে।