কোনো এক বৃষ্টির দিন

পরীক্ষায় করেছিলাম ভুল জানা অংক জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থেকে -
গ্রামের স্কুল ঘরটার লাগোয়া বিশাল মাঠটি ছিল আসলে খেলার মাঠ,  
রবিবারের হাট, বৈশাখী মেলা, এমনকি গবাদি পশুর চারণভূমিও।

সেদিন মাঠ জুড়ে ছিলো বৃষ্টি আর বৃষ্টি
দূরের ছবিগুলো ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিলো মাঝে মাঝেই।  
এর মাঝে একজন সবকিছু উপেক্ষা করে যাচ্ছিলো হেঁটে কোথায় কে জানে?
হয়তো চোখের জল লুকোবার জন্যেই অপেক্ষায় ছিলো এমন ছন্নছাড়া বৃষ্টির।
দুধারের গোল পোস্টে দুটো করে কাক ভিজছে, যেন সন্ন্যাস জীবন তাদের,
বট গাছের ডালে বসে রোদের আর সূর্যের অপেক্ষায় পাখিরা।
ঘাসের উপর জমে থাকা জলের উপর বাজছে জলের বাজনা
কোথাও কোথাও সেতারে সুর তুলে জলেরা যাচ্ছে নদীর দিকে।
সম্মোহিত হয়ে সব ভুলে তাকিয়ে জানালার ওপাশে
আমি অসার জাদুগ্রস্থ - যেন বসে আছি সৃষ্টির শুরু থেকেই।

থাকনা কিছু না মেলা অংক, থাক কিছুটা বন্দী সময়ও
না হয় ওরা বলবে কথা জীবনের সাথে নিঝুম দ্বীপে।
পোষ মানা পাখিটাও উড়ে যায় দূরে রাঙাতে পাখা, তবু  
দিন শেষে ফিরে আসে বাড়ি, পরিচিত উষ্ণতার খোঁজে !  

সেই কবেকার বৃষ্টির জল কবিতার পংক্তি হয়ে দরজায় কড়া নাড়ে
মগজে বসায় কামড় যত্রতত্র, অথচ আমি ব্যথায় কাঁদি না একটুও!  


এহসান নাজিম
০৯/২৮/২০২৩