একজন কবি যিনি যৌবন যার তাকে যুদ্ধে যাবার আহ্ববান করেছিলেন
ঠিক তার জন্মদিনেই তোমাকে নিতে হলো বিদায় এক অসম যুদ্ধে!
বেঁচে থাকাটা বিস্ময়কর নয় আমাদের কাছে এতোটুকু
মৃত্যুর বয়স জন্মের চেয়ে খুব দূরে নয় যদিও
তবুও কেন যে মৃত্যু এখনো নতুন, এতোটা অপরিচিত -
আর তোমার মৃত্যুতো আরও বেশি অপার্থিব, অপ্রাকৃত
যেন অন্য কোন ভুবনের আতঙ্কে জড়ানো কদাকার আগুন্তুক।
সেই 'নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়'র কবি যৌবন ফেলে এসেছেন বহুকাল আগেই
বার্ধক্যে পৌঁছে তবু আজো তিনি যৌবনেরই কবি।
প্রেমিকার ডাকে আজীবন পাখি হয়ে মৌনতা ভাঙবেন হয়তো নিমেষেই
কিন্তু যৌবনের সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াবার উজাড় সাহসও তিনিই!
সেই সাহসে ভর করেই কিনা কে জানে
পঁচে গলে যাওয়া বীভৎস কিছু দানবের মুখোমুখি হলে তুমি –
সেই থেকে তুমি মিছিলে না যেয়েও হলে মিছিলের মুখ
বিভ্রান্ত সময়ের যুদ্ধে নেতৃত্ব দেবার জন্য তুমি অবিরাম
লিখছো অগ্নুৎসবের ইস্তেহার, উচ্চারণ করছো সাহসী পংক্তিমালা।
কবি শুধু স্মিত হেসে একের পর এক পংক্তিগুলো বসিয়ে
লিখছেন ভালোবাসার, শোক আর দ্রোহের কবিতা!
(অক্টোবরের ৭ তারিখ, কবি হেলাল হাফিজের জন্মদিন আর বুয়েটের আবরার ফাহাদের প্রয়াণ দিবস।)
এহসান নাজিম
১০/০৫/২০২২