এক অবেলায় ভৈরব ব্রিজের উপর চট্টগ্রামগামী ট্রেনের জানলায় ছিলে তুমি
সমুদ্রের সূর্যাস্তের নৈঃসঙ্গে প্রচন্ড স্তব্ধতায় ছিঁড়েছিলে বিকেলের ছায়া,
এক অবেলায় পরাক্রান্ত অভিমানে তোমার ঠোঁটের কোনে জ্বলেছিল স্ফুরিত আগুন
এইভাবে দুহাত ভরে উদাসীনতায় তুলে ধরেছিলে গতবেলার মুষ্ঠিবদ্ধ যন্ত্রনা,
এক অবেলায় অচল দিবাবসানে ঘুমের মতো প্রগাঢ় অন্ধকারে ডুবেছিলে একাকী
পিপাসার্ত রৌদ্রের মরুভূমি তোমাকে দেখিয়েছিল ভুল-ভ্রান্তির মায়াবী পথ,
এক অবেলায় দিগন্তের সূর্যোদয়ে তোমার মুমূর্ষু আকাশে কুয়াশা জমেছিল
বিচ্ছেদের মতো বেদনার্ত হয়ে সারাদিন মৃত্যু উড়িয়েছিলে তীক্ষ্ন হাতে,
এক অবেলায় তোমার অকারন হতাশার ব্যথা নিয়ে মন খারাপ করেছিলে
অগোছালো মন্থর জীবনের শরীরে ঢেলে দিয়েছিলে ফুসফুসের অসুখ,
এক অবেলায় কুড়িয়ে পাওয়া অপাঙ্ক্তেয় ফুলের আর্তনাদে ঘরের গন্ধ পেয়েছিলে
যথার্থ ভুবনহীন বাতাসের আশ্রয়ে ভয়াবহভাবে মিশে গিয়েছিলে সূর্যাস্তে,
এক অবেলায় গভীর দীর্ঘশ্বাসের আকৃতিহীন অন্যমনস্কতায় হারিয়ে গিয়েছিলে
নিজেকে খুঁজতে চেয়েছিলে এককোটি পদ্মপুকুরের অতল গহীন জগতে,
এক অবেলায় ঘুম ভাঙ্গতেই স্বজনহন্তারক ছুরির ধারে কুরবানী দিয়েছিলে নিজেকে
তারপর একটু একটু করে অভ্যস্ত হয়ে গেলে মরতে মরতে বেঁচে থাকায়।