বর্ষাদিনের ঘোরলাগা ঐ ছায়াচ্ছন্ন মেঘবিকেলে
নূপুর পরা এক কিশোরী তাকিয়ে থাকুক
দূর আকাশে, বৃষ্টি আসুক ছন্দ নিয়ে
ভিজিয়ে শাড়ি, সন্ধ্যা নামুক আলতো পায়ে
টুপুর টাপুর জলের সাথে ভালবাসার অনাদায়ে।
একটু সুখে অভিমানী দৃষ্টি হারাক অপার নীলে
মাতাল হাওয়ায় এলোমেলো জলের কণা উঠুক জ্বলে
হীরের মত, কদম ফুলের ডালে ডালে
কেয়া,বেলী যাক ভিজে যাক, লাজুক লতা পড়ুক নুয়ে
বৃষ্টিবালার মেঘশাড়িতে হিমেল সুখের বার্তা ছুঁয়ে।
দীর্ঘশ্বাসে অল্প ব্যথায় কোমল আলোয় দেয়াল ঘিরে
জমতে থাকুক রাতটি ভরে আলসেমিতে বিন্দু বিন্দু
দুখের কণা কাঁচের গায়ে, ঐ জানালায়
বৃষ্টিসুখে দৃষ্টি হারাক দূরদিগন্তে মেঘের পানে
চমকে যাওয়া আলোর ছোঁয়া, হঠাৎ শোনা বিজলী গানে।
হৃৎপিন্ডে একসমুদ্র বাষ্প জমা এই কুটিরে
হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি বাজুক পাতার বাঁশি শুনে
মুগ্ধ মনে, স্বপ্ন নামুক কানের দুলে
অপরাজিতা ম্লান হয়ে যাক অবাক করা ব্যথার নীলে
মন খারাপের আকাশ নামুক আয়না হওয়া পদ্মঝিলে।
ছিন্ন ছিন্ন নীরবতার ভিন্নতার এক জগৎজুড়ে
একলা থাকুক ব্যস্ত সময় নিজের করা কফির মগে
খুব গোপনে, কবিতাদের সঙ্গী করে
শব্দেরা আজ মেলুক ডানা ইচ্ছেগুলো বুকে পেয়ে
বৃষ্টিরা হোক অনুষঙ্গ মেঘের ভীড়ে লাজুক মেয়ে।