আধেক আলোয় আধেক আঁধার শিশিরভেজা মায়া
পায়ের তলায় হালকা ছোঁয়ায় হিমশীতলের ছায়া,
নীরব নীলের শীতল দিনে হলুদ পাতার ঝড়
করছে আপন ধূসর দুপুর রোদ্দুর করে পর,
মাঘের দুপুর, হিমেল সাঁঝে অকেজো সব দিন
অলসতার আলসেমিতে অলস সুখের ঋণ,
তবুও আসে অতল আঁধার স্বপ্নের আঘাত নিয়ে
বিষন্ন এই শীতের রাতে শীতল অনল দিয়ে-
পুড়ছি ধীরে ধীরে
শিশির বিন্দুর ভীড়ে,
ভিজছে আমার শাড়ির আঁচল ভিজছে ছবির খাতা
কুয়াশাতে কাঁপছে না কি বরফ চোখের পাতা ?
আবছা আলোয় পৌষের ধূলো জমছে স্মৃতির ফাঁকে
অবাধ আবেগ ছোঁয়না,তবু অস্পষ্ট জলের বাঁকে,
যাচ্ছে বয়ে বরফ শরীর, জমছে শ্যাওলা বন
কানের কাছে শীতের বায়ুর বিষাক্ত গুঞ্জন,
বিবর্ণ বাতাস উড়ছে ছুঁয়ে শীতল কালো শাল
হাজার বছর স্থির বুঝি এই নগ্ন শীতের কাল ?
চিত্ত যে আজ পাথরসম, ভাঙ্গন বুকের কূলে
ক্ষয় ধরেছে কঠিন প্রাণে, তৃষ্ণা ব্যকুল ভুলে-
মিথ্যে সুখের নষ্টদ্যুতি
অসময়ের স্বপ্নচ্যুতি,
ভ্রান্ত প্রেমে ডুবলে কি আর স্বপ্ন পাওয়া যায়?
সাধ্য কার আর অবিনাশী এই ভাঙ্গন সামলায়?
অস্তাচলে কুয়াশারই সাদা চাদর অহর্নিশ
ক্লান্ত শিথিল শরীর জুড়ে ঢালছে নীলাভ বিষ,
চায়ের কাপে,কফির মগে বিষম সুখের জ্বালায়-
জল আর গরল এক হয়েছে, মৌন গলার মালায়,
উপেক্ষাদের জমছে পাহাড় হিমালয়ের মত
চোখের মেঘে শিশির বাষ্পে শূন্য ব্যথার ক্ষত,
রৌদ্র চিরে আসছে ধেয়ে মরুর শিথিল ঝড়
নম্র দুখে অবাক দেখি সামনে তেপান্তর,
কাঁপুক,গলুক,উড়ুক,ঝরুক
জমাট বরফ উপচে পড়ুক,
শিথিল কালো কঠিন চোখের রুদ্ধ নোনাজল
বাঁধ ভাঙ্গুক আজ বরফজলে নামুক ব্যথার ঢল।