মা ডাকলেই প্রাগৈতিহাসিক অরণ্যগুলো
নবীনপল্লবশোভা নিয়ে দুঃখজয়ের গান গাইতো,
নগরবাসিদের উপেক্ষা আর অবহেলা সরিয়ে গাছগুলো
শতাব্দী প্রাচীন নৃত্যভঙ্গিমায় শ্যামল হয়ে উঠতো।
মা অরণ্য ভালোবাসতো, রোদ ভালোবাসতো।
শহরের সর্বস্বান্ত খালের মতো নিঃস্ব শব্দদের
সাজিয়ে সাজিয়ে লিখতো চিলেকোঠার হাহাকারের গল্প।
মা কবিতা ভালোবাসতো,
শাড়ির পাড়ে যেমন মাটির গন্ধ লেগে থাকে
ঠিক ঐরকম
ভালোবাসা যেমন রাত্রি জেগে থাকে,
কবিতারাও নাকি অমন শুক্লপক্ষের চাঁদের আলোর মত কোমল।
অঘ্রানের বাতাসের মতো নিষ্পাপ, শিশিরের মতো বিষন্ন।