এইভাবে বিমর্ষ ব্যর্থতা চোখে নিয়েই আমি ঘরে ফিরে যাবো,
অনুতপ্ত অনাথ নতমুখ নিয়ে দাঁড়াব বাবা মায়ের সামনে।
আমার অবোধ ছোট হাতের মুঠোতে ধরবে না এত অজস্র ব্যর্থতা,
তবু তাদের সামনে দাঁড়ালেই আমার দহনস্নাত জীবন পুনঃস্নিগ্ধ হবে।
আমার চোখের নিচে এত উদ্বেল সন্ধ্যার কালো বলে দেবে,
আমি জলের মত নত হয়ে অসাবধানে ঝরে গেছি শুধু,
পথ থেকে তুলে নিয়েছি ঘুমকাতুরে মলিন অন্ধকারের রাত।
এমন সজল চুপিসার জটলা ছায়া মুখে দেখলেই মা বুঝে নেবেন
আমার প্রাণে অন্ধকার নেমেছে কখন, কখন আমাকে খেয়ে নিলো হতচ্ছাড়া ভুলেরা।
এমন অনায়াস আত্মসমর্পিত জটাচুল দেখলে বাবাও বুঝে নেবেন
আমার চোরাবালি ভরা স্বপ্নভুক ব্যর্থতাদের ভিড়ে তছনছ দুপুরের গল্প।
আমি তাদের পায়ের কাছে বসব ক্ষমাপ্রত্যাশী আকাশ নিয়ে,
বাবা-মা সব বোঝেন, না বলা গল্পগুলোও পড়ে ফেলেন খুব নীরবে,
তারাও তাদের চোখের ঝাপসা চশমা সরিয়ে ঘনঘোর বর্ষার উদ্দাম দেখাবেন,
আমি থাকব ছিন্নবিচ্ছিন্ন ভুলের মেঘলা বারান্দায়, দেখে নেব আমার অবহেলার মাত্রা,
ছায়ার মতো জড়োসড়ো অন্তহীন অধঃপতন নিয়ে চেয়ে থাকবো,
আমার কন্ঠস্বর কেঁপে কেঁপে উঠবে কথা বলতে গেলে, তারা শুধু শুনবেন,
ব্যাকুল এবং বিপন্ন অস্তিত্বের চিহ্ন হয়ে আমি এঁকে যাব আমার মাংশাসী ভুলের ছবি,
প্রথমে খুব হাসফাস লাগবে তাদের, কিছুক্ষণ মুখে ফুটবেনা কোন কথা,
তারপর তাদের আশীর্বাদের ভাষণ হাওয়া ঝরঝর ঝাউবনের মতো শুদ্ধতম করে তুলবে আমায়।