হে মানুষ! আজ নিজের অসুস্থতাকে
বলছো পৃথিবীর অসুস্থতা,
হে মানুষ! আজ তোমরা অসুস্থ বলে,
বলছো পৃথিবী আজ ভালো নেই,
হে মানুষ! আজ তোমরা ঘরে আবদ্ধ বলে
বলছো পৃথিবী আজ সুস্থ হতে চায়।
কিন্তু, পৃথিবী কি কোনো কালে সুস্থ ছিল?
পৃথিবী কি কোনো সময়ে ভালো ছিল?
হ্যাঁ, হয়তো বা কোনো একদিন পৃথিবী সুস্থ ছিল,
কিন্তু তখন এই হিংস্র মানব জাতির অগ্রগতি ঘটে নি।
হ্যাঁ, হয়তো বা পৃথিবী একদিন ভালো ছিল,
কিন্তু তখন এই ধ্বংসাত্মক মানব জাতির জন্ম হয় নি।
হ্যাঁ, পৃথিবীর বুকে একদিন স্বচ্ছ বারিধারা বইতো।
নীল আকাশে একদিন নির্মল বাতাস বইতো।
কিন্তু তখন মানুষ তাঁর অগ্রগতির নামে
পৃথিবী ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠে নি।
আজ তোমরা অসুস্থ, ঘরে আবদ্ধ,
আজ তোমরা বলছো পৃথিবী অসুস্থ, সুস্থ হতে চায়!
কিন্তু না, না, পৃথিবী আজ একটু সুস্থ,
পৃথিবীর স্বচ্ছ বারিধারা আজ
তোমার দ্বারা কুলসিত হচ্ছে না।
আজ পৃথিবী তাঁর আকাশে নির্মল শ্বাস নিতে পারছে।
পৃথিবী আজ তাঁর দু'কান খুলে,
শুনতে পাচ্ছে শান্ত প্রকৃতির ডাক।
তোমাদের ব্যস্ত শহরে গগন আলোড়িত শব্দে
এতোদিন দু'কান চেপে রেখেছিল।
স্বার্থান্বেষী মানুষ সুস্থ থাকতে দেয় নি পৃথিবীকে,
অসুস্থ করে রেখেছিল তাঁর প্রকৃতিকে।
আজ তোমরা অসুস্থ, ভীত, ঘরে আবদ্ধ
কিন্তু, পৃথিবীটা আজ সুস্থ,
আজ পড়ছেনা নদীতে কলে-কারখানার নোংরা জল,
উরছেনা নীল আকাশে কালো ধোঁয়া,
কাটছে না কেউ গাছ, পুড়ছে না বন
পশু-পাখিরাও আজ নির্ভয়ে ঘুরে বেড়ায়।
তবে কে আজ অসুস্থ,
মানুষ নাকি পৃথিবী?