একটা ছেলের বয়স হবে পঁচিশ বা ছাব্বিশ
দেখলে ভাবে সবাই তারে পয়ত্রিশ-ছত্রিশ।
কর্মক্ষেত্রে সবাই করে প্রশ্ন অবিরত
ভাবি কোথায়?বাচ্চা ক'টা? এমন যত শত।
সে সব কথায় অনূঢ় ছেলে হয়ে যে বিব্রত
মন খারাপকে শিকেয় তুলে হলো জাগ্রত।
ঠিক করলো সে উত্তর দেবে তারা যেমন চায়
বউ আছে,বাচ্চা দুইটা, এখন বলে বেড়ায়।
বউকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া এটা-ওটা কেনা
দুটো বাচ্চার খেলনা চকলেট বাড়ায় যে দেনা।
বাবার বাড়ি, শশুর বাড়ির জন্য কত গিফট
কিনতে কিনতে আমি ফতুর হয়ে যাই ফিট।
শালি-শালা সবই আছে কথাতে চমৎকার
আমি ফতুর হলেও কি!ওদের অহংকার।
বাজার করতে যেয়ে রোজ হচ্ছি বেজায় জব্দ
বউয়ের গাল-মন্দ শুনেও মুখে নাই রা' শব্দ।
ক্লান্ত শরীর নিয়ে যখন ঘরে ফেরার তাড়া
নিতে কিছু ভুল হলে তার, বলে লক্ষ্মীছাড়া।
একটু খেলা দেখবো বলে টিভিতে হাত দেই
রিমোট কেড়ে নিয়ে বলে সিরিয়াল দেখে নেই।
রাতে এখন দুধ খেতে হয়,চা-সিগারেট বাদ
মাঝ রাতেতে বাচ্চা কাঁদে, ঘুম হয় বরবাদ।
নিজের মনের ভাললাগা শেষ হয়ে সব গেলো
ব্যাচেলর লাইফ হারিয়ে যেয়ে অধীনতা এলো।
এমন গল্প ছেলেটি আজ বলে জনে জনে
সবাই শুনে সত্যি ভাবে, ছেলে হাসে মনে।
ওদের থেকে শোনা গল্প, রঙ লাগিয়ে বলে
যদিও মনে বলছে ঠিক -'যাবো না ঐ দলে।
টেকো মাথা দিছে বাড়ায় যদিও দশ বছর
সুস্থ আছি সর্ব অঙ্গে হাজার কোটি শোকর।'