চলার পথেই চোখে চোখ পড়ে
শুনি দেখি পড়ি নানা ভাষা
শব্দহীন তাদের মেলামেশা
কেউ জানে না তা।
দিনমজুর, মুসাফির, ফেরিওয়ালা
দেখি টোকাই এর খুঁজে ফেরা
আশার ঝুলি কাঁধে ভর করা।
বখাটে ছেলেটার ঠোঁটে যে ক্রুড় হাসি
অব্যক্ত ভাষায় লেগে থাকা
ছায়াহীন বেকারত্ব আঁকা।
পাগলির আড়ম্বরহীন চুলের ফাঁকে
মায়াবি চোখে যে বিপ্লব ঝরে
রুক্ষ তিরস্কারে সে খেলা করে
কেউ জানে না তা।
গর্ভবতী ছাগীটার পা টেনে টেনে চলা
সেলাই দিদিমনিদের ফেরার তাড়া,
ভিখারির শিশুটি হয়তো ভাড়া করা
কারো অপেক্ষায় আছে কেউ,হয়তো বা না
প্রত্যেকের গল্পটা আলাদা আলাদা
প্রবাহমান চোখে থাকে গঙ্গা পদ্মা
শতো গল্প,আনন্দ বেদনা গভীর অন্ধকার
ক্লান্ত স্বপ্নে থাকে যে সীমাহীন খাঁদ
চোখের তারায় মাখা রুপালী চাঁদ
কেউ জানে না তা।
বেপোরোয়া ড্রাইভিংয়ে, পাড়ার মোড়ে
থেতলে যাওয়া ছোট্র কুকুর ছানা
মা কুকুরটি কখনো বিচার পায়না
হয়না বিচার ঘুষখোর, খুনী, ধর্ষনকারীর
চোখে তার রুমাল বাঁধা
মিছেলেও খোঁজো রাধা!
আবার মায়ের কোলে শিশুটির হাসি
যখন মিটি মিটি চোখে চায়
কতো জন্মের চেনা মনে হয়
কী অপার শক্তি প্রতিটা শিশুর মাঝে
সব দুঃখকে ভুলিয়ে দেয়
নয়ন কোমল এক ভাষায়
নিজেও জানে না তা।
আমার সবার সাথেই কথা হয়
প্রতিদিন একটু একটু করে
শব্দ চোখের কাজলে ভরে
বিচরণ করি ইচ্ছে মেঘের ডানা মেলে
মুখের ভাষায় থাকে প্রতারনা ঢাকা
চোখের ভাষায় যায় কিছুটা দেখা
সেই বিশ্বাসের দুর্নিবার আকর্ষণেই
চোখে চোখে এ ছুটে চলা
ক্লান্তহীন নৈশব্দে কথা বলা
কেউ জানে না তা।