ইস্!
প্রেমিক যদি হতো আমার
ফুচকা মুড়িওয়ালা
পানি পুরি,ফুচকা খেতাম
রোজ শত পেয়ালা।
ইস্!
এপ্রন পরা মিষ্টিভাষী
ডাক্তার প্রেমিক হলে
বিনা পয়সায় রোগ সারাতে
যেতাম কাছে চলে।
ইস্!
নেতার কণ্ঠের মিষ্টি ভাষণ
শুনতে ভালো লাগে,
ওনার মহান দেশ প্রেমেতে
মনে তুফান জাগে।
ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে
তারই প্রেমে পড়ি,
কথার কলসি গলায় বেধে
সাত সাগরে মরি।
তারও চেয়ে বেশি তড়পাই
কবির কাব্য কথায়,
আকাশ নীলে ঘর বাধি তার
কথার মরিচীকায়।
ইস্!
বাউল গায়ক, উদাস মাঝি
প্রেমিক প্রেমিক ভাব,
মাঝির নৌকায় ঘর বাঁধতে
দেখে রঙিন খোয়াব।
দুপুর রাতে তারার মেলায়
মাঝ নদীতে এসে
দুয়ার ছাড়া ঘর বাধি রোজ
নদীর জলের দেশে।
ইস্!
কাঁচের চুরি নিয়ে যখন
ডাকে ফেরিওয়ালা
হাসতে হাসতে দিই বাড়িয়ে
পড়তে হাতে বালা।
চিত্রকরের তুলির কাছে
প্রেমও পরাভূত,
বুদ হয়ে যাই রঙের নেশায়
আবেগে আপ্লুত।
ইস্!
ভাবতে যেয়েই শিউরে উঠি
কী যে মজা হতো!
এক মানুষই বহুরূপে
আসতো অবিরত।
ইস্!
ভয়েই আবার শিউরে উঠি
কী ভয়ানক হতো
কিম্ভুতাকার প্রেমিক হতো
পেয়ে এতো শত।
হতাম তখন আমিই বুঝি
রামগরুড়ের ছানা,
মজা তো আর থাকতো নাকো
হাসাই হতো মানা।