তোমার তীরে বসিয়া নয়ন দুটি মেলিয়া
দেখিয়াছি অপলক দৃষ্টিতে সৌন্দর্যের নীলিমা
এই মধুমতী ধানসিঁড়ি নদীর তীরে আসিয়া
নিজেকে হারিয়া যেন পাই ফিরিয়া ফিরিয়া।
পুবালি বাতাসে ভাসা পানি,উড়িয়ে নৌকার
পাল খানি,ভাটিয়ালি গান ধরে নৌকার মাঝি!
জেলেরা সব ডিঙ্গি নৌকায় তাল মিলিয়ে ঢেউয়ের
দোলায়, জাল ফেলেছে জীবন ধারনের তাগিদে।
দুই পাড়ের বালু চরে কাশ-বনে থাকে ঘিরে
শালিক-বাবুই বাসা বেধে কিচিরমিচির করে,
বুন হাঁসেরা দল বেধে ভেসে চলছে কুল ঘেঁষে
বুকে বাঁধিয়ে উজান জলের ঢেউ।
অস্তায়মান রক্তিম সূর্য ডেকে আনে নিঝুম যামিনী
জোয়ারেতে বাতাসে ভাসে উজান জলের কলকলানি।
সন্ধ্যা হতেই ঝিঁঝি পোকার দল শুর করে কোলাহল
অন্ধকারকে আলো দিতে চলে আসে জোনাকির দল।
হাজার বছর পরে যদি আমার ঠিকানা খুঁজো
মধুমতীর তীরে খুঁজবে আমার পদ চিহ্ন।
মন যদি পোড়ে তারি তরে
ছুটে যাই তখন মধুমতীর তীরে।