বৃষ্টির গায়ে অনেক জ্বর,
স্পর্শ করতে ই মনে হল মাত্র টা বেড়ে চলেছে
“মনে হচ্ছে কেউ শরীরে এসিড ঢেলে দিয়েছে, তাই এত জ্বর”
অবশ্য হবেই-বা না কেন কারন এসিডে'এর সহজ লভ্যতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
যেখানে সেখানে এসিড এর আনাগোনা।
আমার বৃষ্টি কি বাঁচবে না?
আমি ওকে বড্ড ভালবাসি।
আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল যখন আমি মায়ের কোলে।
মা আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বাইরে
গিয়ে আনন্দে চিৎকার করে বলেছিলেন বৃষ্টি এসেছে,
আজ আমাদের নতুন বাসায় প্রথম বৃষ্টি এসেছে।
নতুন অতিথি বলে কথা! মা খালি মুখে বিদায় দেন নি।
আপ্যায়ন করেছিল সদ্য ভাজা মুড়ি দিয়ে”
বৃষ্টির দাঁত নেই তাই পানি দিয়ে নরম করে ভিজিয়ে খেয়েছিল।
যদিও সে দিন বৃষ্টির সাথে আমার চোখা-চোখি হয়নি।
মায়ের কাছে শোনা বৃষ্টি দেখতে ভারি-মিষ্টি,আমাকেই না-কি দেখতে এসেছিল।
আজ আমি নাও জোয়ান-
জন্মান্ধ থেকে মুক্তি নিয়ে এক দৌড়ে
চলে এলাম বৃষ্টি কে দেখব বলে।
বৃষ্টি আমার জন্য বাইরে অপেক্ষা করছে মায়ের মুখে শুনেই হন্ত-দন্ত ছুট দিয়েছিলাম।
মা জানতেন বৃষ্টি কে আমি কি পরিমাণ ভালবাসি,
আমার বেড়ে ওঠার সাথে সাথে বৃষ্টি বয়স বেড়েছে ।
ভারি লজ্জাটে হয়েছে বৃষ্টি টা, মুখে কিছু বলে নি
কিন্তু আমার স্পর্শে যেন কুঁকড়ে যাচ্ছিল বৃষ্টির শরীর
লজ্জায় লাল, নীল,আর হলুদ হয়ে যাচ্ছিল বারণ বার ।
সেইদিন অনুভব করলাম বৃষ্টির শুভ্র শরীর,স্পর্শ দেখার প্রথম স্বাদ ।
কিন্তু আমার বৃষ্টির গায়ে জ্বর
খুব জ্বর,
ও বাঁচবে তো!