শীতল ও উচ্ছ্বাস-হীন বনাঞ্চলে হারিয়ে গেছি ;
আমি পার্থিব শান্তি-হাট ।
উষ্ণতার খোঁজে তোমরা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছ প্রতিদিন ;
স্বপ্নে , চেতনায় ,দৈনন্দিনতায় তোমাদের ভ্রম এসে করছে ভর।
অর্থকরী সে তো পুরনো বিষয় ;
বিদ্যা ,খ্যাতি আর সামরিক চেতনা এখন উচ্চতায় বিরাজমান ।
এটা সত্য ,অপার্থিব বিষয়াদি বিলুপ্ত হতে হতে শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেছে;
আর , যেটুকু পড়ে আছে ওটুকু তোমাদের ভান মাত্র ।
কিন্তু না চাইলেও যেটা মগজে আপনাআপনি চলে আসবেই ;
তা আত্মার উৎপত্তিস্থল নিয়ে ভীতি কিংবা প্রশ্ন,  
নিশ্চিতভাবে যে বোধটা শেষ নিশ্বাসের সময়টাতে এসে জেঁকে বসবেই ।

বলা যেতে পারে প্রথমেই,
সুস্বাদু মাংস চর্বণের পর তৃপ্ত মুখভঙ্গিগুলোকে নিয়ে।
ওখানে আনন্দ আছে সন্দিহান ভাবে;
শান্তি ব্যাপারটা স্বাদহীন ,অনেকটা জলের মত ,
নোনতা কিংবা মিষ্টতার মত তৃষ্ণার কোন সাদ নেই।
  
“বন্দুকের নলে বীরত্ব আছে।
কষ্টার্জিত বিদ্যা চর্চায় সম্মান আছে।
কোকিলকণ্ঠীর সংগীতে খ্যাতি আছে।
দুর্দান্ত কবির কবিতায় অফুরান সুনাম আছে। ”

তোমাদের পিতামহ কিংবা পিতা বছরের পর বছর লালন করে চলেছে এইসব বানি ,
যেদিন থেকে আমি হারিয়ে গেছি উচ্ছ্বাস-হীন এই শীতল বনাঞ্চলে।  
আরক’টা দিন বাদে ডুবে যাব টোনা মাছের হাঘরে  
যেখানে হাঙ্গর তাড়িত ভয় জিইয়ে পোনা মাছ খেলা করে ।
এখনি সময় , এসো আমাকে মুক্ত করো ।

পার্থিবই যদি তোমাদের মূলমন্ত্র হবে
তবে শান্তিবিহীন  দিনানিপাতে নিজেদের আর কত ক্ষয় করবে !
বনাঞ্চল খুব বেশি দূরে তো নয়,
বসত বাড়ির আঙিনা পেরুলেই অইতো শুষ্ক বনভূমি।
শুধু নিজে স্বাদ নিও না ,ওর তৃষ্ণা নিবারণ কর ,
আর আমাকে খুঁজে বের করো অপার্থিবতায় প্রবেশের আগেই ।
তোমাদের বংশধর বেড়ে উঠুক সত্যিকার শান্তি-সুখে ।