যেদিন প্রথম এ শহরে হাঁটতে শুরু করি,
সেদিন দু চোখ ভরা অজস্র স্বপ্ন ছিল।
উঁচু উঁচু দালানকোঠার ফাঁক দিয়ে,
আমার স্বপ্ন গুলো আকাশ ছুঁয়ে উড়ত ।
রঙ বেরঙের হাওয়াই-মিঠাই এর মত-
দিবানিশি চারপাশে বুদবুদ ছড়াত ।
আর আমি ফুঁ খেলা খেলতাম ,
হাসতাম ,ভাসতাম , স্বপ্ন নগরীতে নতুন বীজ ছড়াতাম ।

তারপর একদিন হটাত করে-
স্বপ্নগুলোকে একটা কাঠের বাক্সে বন্দি করে মাটি চাপা দিলাম।
ভেবেছিলাম সময়মত মাটি খুড়ে বের করে নেবো।
তখন কি আর জানতাম মানুষের মত স্বপ্নেরও প্রাণ আছে !
একবার মরে গেলে স্বপ্নেরাও আর ফেরে না।

ভুলে গিয়েছিলাম আমাদের জীবনে আমরা নিষ্ঠুর ভাবে অদ্বিতীয়  
ভুলে গিয়েছিলাম ডিমে তা দিলে ডিম ফুটে বাচ্চা হবেই।
হুম , অনেক উষ্ণতা ঢেলেছিলাম আমাদের কাল্পনিক সংসারে ।
আর তাই মাসান্তরে আমরা মুঠো মুঠো কুসুম পেতাম -
আমাদের ভালবাসার থালা ভরে ।


ছোটবেলায় ফাইলা পাগলার মেলায় এক সাধু বলেছিল , “মাগো তোমার ইচ্ছা শক্তি প্রবল!”
বোকা সাধু জানত না-
প্রত্যেকটা মানুষের ইচ্ছাশক্তিই গ্রানাইট এর মত শক্ত হয়।
যেখানে সাধ্য শক্তি শামুকের শুঁড়ের মত নরম ।

কোমল কোলবালিশের গাঁ ছেড়ে উঠে না দাঁড়ালে,
মানুষ কি আর অমরত্ব জয়ের পথ খুঁজত!

আজ আমার মৃত স্বপ্নগুলো প্রেতাত্মা হয়ে আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
সে তো আমারই ব্যর্থতা ,তুমিতে” খেয়েছি আমার স্বপ্নের রঙ।

এ শহরটা আজও তেমনি আছে আগের মত,
শুধু আমার স্বপ্নেরা নেই।
হাতরে মাটি খুঁড়ে শুধু কঙ্কাল আর অন্ধকার মেলে শহুরে বাতাসে ।
এখন আর কারো সাধ্য নেই , হাড্ডিগুলো চাবিয়ে খায় !
এমনকি তোমারও না ।