আবার ফিরে এসেছে সে, এই টোকা পড়লো বলে
সাবকনসাস ধীর পায়ে প্রবেশ করলো সচেতনে,
শুরু হলো তার নাটকীয় দৃশ্যের প্রদর্শন,
মুহূর্তে লেগে গেল যুদ্ধ, নীরব তাণ্ডব,
আগন্তুক জানে গৃহকর্তা সুসভ্য মাংসাশী।
স্বঘোষিত রাজার ন্যায় দখল করলো সমস্ত এলাকা,
সম্বোধিত হলো দন্ডায়মান লোম রাশির দ্বারা,
প্রাসাদে বয়ে গেল পুঞ্জীভূত যৌবনের তরল,
পাংশু মুখটা ঢেকে নিলো তার কলুষিত রূপ।
চুপ! চুপ! এসব কথা বলতে নেই,
যৌবন আমাদের লজ্জা, তাকে ঢেকে রাখো,
শুধু আঁধারেই খুলবে সে মুখ, মেলবে চোখ,
জনসংখ্যা উন্মত্ত কন্ঠে ধিৎকার দিলেও,
এ বিষয়ে প্রশ্ন করাও পাপ, তুমি না ভদ্র!
গাঢ় লাল রক্তে গড়া এ জগৎ,
নির্বাক চিৎকার আর মাংসপিন্ডের খেলায়,
সৃষ্টি হয় নব প্রজন্ম, তা সত্ত্বেও,
লাল রং নাকি পাপের প্রতীক।
নীতির শিকলে বাঁধা আছে সচেতন,
মহারাজ লিবিডোর অস্বীকৃত প্রজাদের,
আর্য মুখোশে ঢাকা পাশবিক সত্য,
ভূষণে লজ্জা আর হাত জোড়া সিক্ত।