আজ আর দু:খের পাচালীতে কাজ নেই, বরং
সুখের কথাই বলি!
অজপাড়াগায়ের কালো মেয়েটির সুখ ছিল না কপালে;
রাত্রি নিশিথে আত্মাহুতি দিল সে গাছের ডালে ঝুলে!
অনিমেশের সোহাগী বউ ঘর পালালো,
অনিমেষও নিরুদ্দেশ হলো একদিন!
এসব দু:খের কথা ভাবতে গেলে কাঁটা দেয় শরীর,
ইচ্ছে করে আমিও পালিয়ে যাই, ইচ্ছে করে
গাছের ডালে ঝুলে পড়ি;
তার চেয়ে এই ভালো সুখের কিছু কথা বলি!
অনেক রাত একাকী কেটেছে বিষণ্ণ বাউণ্ডুলের মতো,
অনেক মৃত পূর্ণিমার শব মিছিল দেখেছি বহু বছর,
ভরা জোয়ারে একফোঁটা জলও পাইনি বহুকাল;
এমন দারুণ দু:সময় সে এলো, এলো হঠাৎ একদিন!
দুই চোখে তার কি দারুণ অস্থিরতা!
বলল, ‘কেমন ছিলে তুমি এতোদিন, কেমন কেটেছে
সময় তোমার?’
যাবার সময় বলে গেলো, তারও ঘর হয়েছে, সংসার হয়েছে!
বললাম, বেশ তো! ‘একাকী যন্ত্রণায় পোড়ার দিন শেষ তোমার।’
আমিও সুখে আছি, রাত আর দিন সমান হলো এবার!
দু:খের সঙ্গেই কষ্টের বসবাস, সুখকে আলাদা
করতে পারলাম না কিছুতেই আর...
১৩ নভেম্বর, ২০১৫
মোহাম্মদপুর, ঢাকা