আজ যদি দক্ষিণের দমকা বাতাসটা আসতো আরও একবার!
তাহলে বেশ হতো।
নির্লজ্জ বেশরম আমি এখন খুব স্পষ্ট করে বলে দিতে পারতাম
কেন জানালা খোলা,
কেন ভাঙা চাঁদ উঁকি দিলে মধ্য রাতে আমি পিপাসার্ত-
জঘন্য কামুক হয়ে উঠি!
কেন দীর্ঘ চুল বিন্যস্ত শুধু, দুই চোখ ঝাপসা হয় সাঁঝে।
মধ্যরাতে দরবারীকানাড়া কেন বাজে বুকের গভীরে।
অস্তিত্ব ভুলে যাযাবর জোনাকপোকারা-
মুখথুবড়ে পড়ে কেন, কেন কোন্ কষ্টে দাবানলের মতো
ছাড়খার করে দেয় বসতবাটি।
আকাশ কেন অন্ধকার যুগ যুগান্তর, কেন চৌচির জলাশয় সব
পূর্ণিমার জোয়ারে!
কেন মধ্যরাতে মাতাল বাতাসে হাহাকার উঠে-
‘ ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট সে তরী’ বলে।
রবীন্দ্রনাথ কেন অষ্টপ্রহর পথিকের শিয়রে দাঁড়িয়ে থাকবেন
দয়া-দাক্ষিণ্য করে!
দক্ষিণের জানালা খোলা, তিনি আসবেন না, তিনি নির্বাসনে আছেন
ভালোবাসার জগৎ ছেড়ে বহু দূরে।
তিনি আসবেন না কোনকালে। তবুও জানালা খোলা থাক-
দুই চোখ চেয়ে থাক হাজার বছর ধরে;
যদি ফিরে আসেন, আসতেও তো পারেন, কথা ছিলো তো
আবারও দেখা হবে একদিন!
৭ আগস্ট, ২০১৫
মোহাম্মদপুর, ঢাকা