নির্ঘুম রাত জেগে থাকার গল্প শোনাতে পারব না তোমাকে আর,
বর্ষায় কদম ফোটার আনন্দ ভাগাভাগির সময়ও
ফিরে আসবে না আর কোনোদিন;
পদ্ম পাতার জল-টলমল চোখে অভিমান থিতু হবে না কখনও আর,
হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেয়ার ইচ্ছেগুলো মন খারাপ করা
অন্ধকারে ডুবসাঁতার দেবে যখন, তখন
কবিতাগুলো তোমার হবে।
এক-একটি কবিতা হাজার মণের দীর্ঘশ্বাসের পাহাড় হয়ে
তোমার বুকে আছড়ে পড়বে একদিন,
সেইদিন তুমি কুহকের অরণ্য ভেদ করে জোছনার জলে
অবগাহন করবে-কবিতার প্রতিটি শব্দ-প্রতিশব্দ-উপমা-রূপক
তোমার আঁচলে ঠাঁই পাবে—আর তুমি
অভিধানের পাতায় পাতায় আমাকেই দেখবে যখন,
তখনই কবিতাগুলো তোমার হবে।
কবিতার জন্য চাই সফেদ আকাশ, সোনালি চাঁদের হাসি,
ঝিরঝির বৃষ্টি, মুগ্ধ বাতাসে ঝিঁঝির উৎসব,
ঘাসের ডগায় রুপালি সকাল—
পাখির ঠোঁটে বারোয়ারি কীর্তন...
এখন বারবেলা, কালবেলা—মন খারাপ করা মজাপুকুরে
অভিমানী জোছনার ডুবসাঁতার, কার যেন সখের নোলক
দুর্বাঘাসে মৃত্যুবিছানায় গড়াগড়ি খায়—
ইচ্ছের পানশি মাঝ নদীতে টালমাটাল,
এমন অসময়ে কবিতাগুলো তোমার জন্য নয়
আমিও কেউ নই তোমার।
পুরানা পল্টন, ঢাকা
৩ জুলাই, ২০১৮