এক যে ছিল দুষ্টু মেয়ে
সে ছিল খুব দুষ্টু
ঘরে কভু থাকবে না সে
হবে নাক শিষ্ট।
স্বরবর্ণের বইটি নিয়ে
একটি জামা খেলনা কিছু
কাঠের পুতুল, মাটির খোলা
পুরে নিয়ে থলের মাঝে
শক্ত করে পিছে বেঁধে
ছুটত শুধু উত্তরেতে
মাঠ পেরিয়ে সাঁকোর পরে
ছুটত শুধু উত্তরেতে
এক যে ছিল মন্দ মেয়ে
সে ছিল খুব মন্দ
ঘরের কাজে মন বসে না
গাঁথবে শুধু ছন্দ।
দিদিমণির চোখ এড়িয়ে
খুব সকালে শয্যা ছেড়ে
গাছ ঝাঁকিয়ে বরই পেড়ে
ঝাল লবণের পুরিয়া খুলে
লুকিয়ে খেত চুপটি করে
দিনের শেষে, শেষ বিকেলে
ছুটে যেত নদীর কূলে
কানপোনা আর টেংরা পেলে
আদর করে রাখতো পুরে
কাচের বয়াম আর বোতলে।
এ ছিল তার মজার খেলা
এভাবে তার কাটতো বেলা।
এক যে ছিল দস্যি মেয়ে
সে ছিল খুব দস্যে
নতুন কিছু দেখবে বলে
ছুটল ভারতবর্ষে
দেখলো গিয়ে সেইখানেতে
নরম মাটি দেশের মতই
রক্তজবা লাল সেখানে
সীসার দলা বেজায় ভারী
বর্ণগুলো দেশের মতই
এক কুড়িতে বিশ-ই হলো
দুই বাংলায় একই ধুলো
তাইতো সে আজ অবাক হলো
প্রথম সেদিন অবাক হলো।।