দুটো নির্ঘুম চোখ অপলক তাকিয়ে–
পূবের আকাশ পানে,
একটা মালগাড়ি পিষে দিয়ে গেল
অন্ধকারের শরীরটা,
নিমেষেই কতকগুলো অন্ধকার এসে ঘিরে দাঁড়ালো
অর্ধমৃত অন্ধকারের দেহখানা।
আমার গোটা শরীরটাই এখন পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে,
ভোরের পালকে লেপ্টে আছে
কয়েক কোটি বার্ড ফ্লু।
বিষন্নতার নাগপাশে বন্দী আমি,
সাপের বিষাক্ত দুটো দাঁত
প্রবেশ করেছে অলিন্দে,
ক্রমশঃ নীল হয়ে যাচ্ছে আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ,,
আমার শরীরের প্রতিটা শিরা-উপশিরা,
স্নায়ুর শীতলতায় বিবশ চেতনা!
এখন আমার ফুসফুস শুষে নিতে প্রস্তুত
কিছু পরজীবী,
কিছু বিষাক্ত ধোঁয়া।
শেষ ইচ্ছেটা তাই জানিয়ে দিলাম
কিছুটা সময় চেয়ে,
যতটা সময়– একটা ভোর আসতে লাগে,
যতটা জীবাণু অবলীলায় শুষে নিতে পারে–
একটা তরতাজা ফুসফুস!
আমার বিষ মিশ্রিত রক্ত নিয়েই
অপেক্ষা করছি তাই– একটা ভোরের!
আমি চাইছি
সমস্ত পরজীবী ঢুকে পড়ুক
আমার শ্বাসনালী বেয়ে
আমারি বুকের মধ্যে থাকা ফুসফুসে,
মিশে যাক রক্তের প্রতিটা কণিকায়,
আমার সমস্ত অস্তিত্বের রন্ধ্রে রন্ধ্রে!
সার্থক হোক
আমার রক্ত আর ফুসফুসের জন্মটা,
সার্থক হোক সত্যিকারের মরার জন্যই
এভাবে বেঁচে থাকাটা!!