এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে আমি দাঁড়িয়ে আছি
তোমার তরুলতা ঘেরা স্নিগ্ধ ছায়ায়;
অথচ কি প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
আমার নিরাকার তনু মন!
হাজারো প্রেমের বৃন্ত হতে ছিটকে পড়া আমি
অপেক্ষার প্রহর গুনছি, আবারো–
হয়তো কেউ আসবে বেদুইন এক,
পরিশ্রান্ত বিকেল পেরিয়ে!
যেখানে প্রাণের নদী উৎসারিত হয়
অযাচিত সভ্যতার বেহিসাবি শরীর ছুঁয়ে!
যেখানে সাগরমুখী জীবন নিয়ে
এক বুক প্রেমের নৈবেদ্য কেবল তোমার জন্য– আমার!
যেখানে রাত্রির প্রহরগুলো অজগরের মত
পেঁচিয়ে ধরতে চায় আমার সব একাকীত্বকে,
আমি অবিচল দাঁড়িয়ে থাকি নিস্পলক চোখে প্রেমের আরতি নিয়ে!
কখনো নিদারুণ বিরহের আগুনে পুড়ে যেতে যেতে
নিকষ কালো রাত্রির প্রাণহীন ভস্ম মাখে
আমার নির্ঘুম চোখ– বেদনা ক্লান্ত অবয়ব!
আমি পুড়ে যেতে থাকি
প্রতীক্ষার অনির্বাণ অগ্নি বলয়ে;
রাহুর মতো গ্রাস করতে থাকা কিছু
নাম না জানা অসুখে
শয্যাশায়ী হয়ে যায় আমার ভিতরের অতসী মন!
শিহরণে উন্মাদনায় আর অসম আক্ষেপে তুমুল ঝড় ওঠে
হৃদয়ের ঈশান কোণ বেয়ে,
পাতা ঝরা ইশারায় তোমাকে নিয়ে যায়
দূর থেকে আরো বহু দূরে–!
যেখানে বিচ্ছেদের একটা দুর্গম পাহাড় থাকে,
একটা ধূসর রঙের নির্জন দ্বীপ থাকে,
একটা এলোকেশী নিথর রাত্রি থাকে–
আর আমি হারিয়ে যেতে থাকি
রাতভর নিশ্চিত উপবাস আর নিষ্ফল আকুতি নিয়ে
একা হতে হতে
আরও একা হয়ে মিলিয়ে যাই
ভোরের নিষ্প্রভ আকাশে,
বেদনা-রাত ক্লান্ত হলে ,,,,,,,,।।