তুমি কি আমাকে ভুলে গেছো বর্ণা?

একেবারেই না। ভুলে যাওয়াটা যদি এতটাই সহজ হতো তাহলে জলের তলার নুড়ির বুক কি এত শুষ্ক হতো?

আবার সেই— হেঁয়ালি না করে বলো আমার কল রিসিভ করো না কেন?

ফোন হাতে এখন কম থাকে তাই!

ও, আচ্ছা! তো কারণটা জানতে পারি কি?

কারণ বললে হেঁয়ালি হবে, সত্যি বললে লালসা হবে, তাই—

তাই কি?

তাই নিজেকে শুধরে নেওয়ার একটু প্রয়াস মাত্র!

ওও– আমার থেকে সরিয়ে নিতে তুমি আর ঠিক কি কি করছো?

তেমন কিছু নয়। এই ধরো ভালোবাসা আর প্রেমের মধ্যে পার্থক্যটা খুঁজে বেড়াচ্ছি। লালসা ঠিক কোনটাকে বলে সেটাকেও আবিষ্কার করার চেষ্টা করছি মাত্র!

তো খুঁজে কি পেলে— প্রেম, ভালোবাসা, লালসা কিছু?

না, এখনো পাইনি! তবে জানার চেষ্টা করছি আমি কাউকে ভালোবাসতে যেয়ে লালসায় মগ্ন কোন নারী রূপেন  মরিচিকা মানবী হয়ে গেছে কিনা—!
তো বলো, কেমন-- আছো?

যেমন রেখেছো!
দূরত্ব ঘোচাতে চাইলে দূরত্বটা ও যে এতখানি সাংঘাতিক হতে পারে–

জানতে না, তাইতো? আসলে দূরত্বের গায়ে যখন দূরত্ব নামক অমানবিক শব্দটি গেঁথে যায়, তখন দূরত্ব আর শুধু দূরত্ব থাকে না! হয়ে ওঠে বিচ্ছেদের ভূলুণ্ঠিত প্রাণ! হয়ে ওঠে লক্ষ কোটি বছরের অভিমান ঘেরা বনানী! হয়ে ওঠে যাতনার যূপকাষ্ঠ! হয়ে ওঠে প্রাণহীন কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি!

এর শেষ কোথায় বর্ণা?

জানি না।  তবে যার শুরু আছে তার শেষও আছে। আবার সবকিছুই শেষ হয়েও শেষ হয়ে যায় না। থেকে যায় তার কিছু রেস—

বলো, বর্ণা বলো----

আসলে শেষ ও শুরু, শুরু ও শেষ একই বৃত্তে ঘূর্ণায়মান দুটো শব্দ! যা হয়তো বিপরীত দিক হতে ধেয়ে আসা কিছু অভিপ্রায়। যেখানে মানুষ শুধু তার মধ্যেখানে সাময়িক পূর্ণতা মাত্র!

কিন্তু বর্ণা—  অভিমান আর অভিযোগ যখন পরস্পরের বিপরীতমুখী হয়ে ওঠে তখন?

তখন সম্পর্কের সুষমা ই কদাকার হয়ে যায়। না বলা কথার কিছু মৃত বুদবুদ লুটিয়ে পড়ে ভ্রাম্যমান পর্যটকের পায়ে। সাগর কিন্তু থেমে যায় না। তখনো তার বুকে অজস্র বুদবুদের সৌখিন উল্লাস থাকে। অবশ্য–

বলো, বর্ণা!

না, থাক!
আসলে শুরুর শেষই যদি শেষ না থাকতো তাহলে হয়তো কথার শেষ কখনো হতো না।

হ্যালো, হ্যালো বর্ণা,,,,,,

(ক্রমশ)