শুধু একটা কবিতার জন্য
আজও অপেক্ষায় আছে আধপোড়া চিতা টা ,
সেই দিন হতে– আমার জন্যে!
যেদিন চিৎকার করে বলে উঠেছিলাম
এ মৃত্যু আমার জন্য নয়!
ছিটকে বেরিয়ে এসেছিলাম মৃত্যুর পরিণতির ঠিকানা থেকে
শুধু একটা কবিতার জন্য–!
শুধু একটা কবিতার জন্য ফাঁকা কবরে
নেমেছে মাটির ধস,
মুখ খোলা কফিন আজও পড়ে আছে
মৃত্যু ঠেকানো আমার জন্য– অপেক্ষায়।
অনেকগুলো মৃত্যু ঠেকাতে ঠেকাতে
আমি জেগে আছি আজও– অজস্র বিনিদ্র রাত;
দীর্ঘায়ু হবার প্রত্যাশায় নয়
বারুদের মুখোশধারী আগুন দেখার জন্য–
প্রতিটা শিরায় যখন বয়ে চলে
আগুনের উৎস–বারুদের সম্ভাষণে!
কখনোই অজ্ঞানের ভীরুতায় নয়,
চমকে উঠি জ্ঞান পাপীদের মুখোশের কারুকার্যে;
স্বার্থের যূপকাষ্ঠে যেখানে উৎসর্গিত হয়
মানবতা;
হৃদয়ের প্রকোষ্ঠে দৈন্য প্রেম, চটুল বাগ্বিতণ্ডা!
বেনিয়ার মতো ধর্ম বিক্রি করে,
মিথ্যাকে সত্য বলে চালানোর প্রযুক্তির আধারে
নপুংসক হতে পারিনি আমি–
কারণ একটা সত্য বলার জন্য
আজও, আজও মৃত্যুকে ঠেকিয়ে রেখেছি আমি
শুধু সত্যটাকে তুলে ধরার জন্য;
রাত্রি জেগে
লিখে যাবো কবিতার ছত্রে ছত্রে – সে কথা
রক্তচক্ষুর পরোয়া না করে;
ঔদার্য কণ্ঠে বলে যাব
মানুষের জন্য মানুষ–মানুষ মানুষের জন্য;
সত্যের জানালা খুলে দেখো
মানুষ ধরাশায়ী কতটা মিথ্যার আস্ফালনে,
সূর্যের মুখে অতৃপ্তির কালো মেঘ,
মেঘের আড়ালে সূর্য–
নিষ্ক্রিয় বারুদ জ্বলে উঠবে
যার প্রতিটা শিরায়;
আলোকিত হবে চারপাশ–
মানুষ কবিতা মানুষের হবে।।