তুমি মেয়ে– তাই তোমাকে
একটু বেশি সতর্ক হতে হবে।
এই যেমন পুরুষ আত্মীয়দের কে
অন্ধভাবে বিশ্বাস করা যাবে না,
শিক্ষাকেন্দ্র তোমার জন্য নিরাপদ–
একথা সরল বিশ্বাসে মেনে নেয়া যাবে না।
রাস্তায় হাঁটার সময় সামনে পিছনে
চোখ রাখলে
দেখবে কত নোংরা দৃষ্টি
তোমাকে গিলে খাচ্ছে!
তুমি আপন খেয়ালে যাচ্ছো
হঠাৎ কোনো পুরুষ জঙ্গি
তোমার মুখে এসিড ছুঁড়ে
অথবা অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে!
এটা নতুন কিছু নয়
হার হামেশাই ঘটছে।
তোমরা চোখ কান খুলে রেখো–
কেউ ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে
বা বাজে মন্তব্য করছে–
আর তুমি ভয় পেয়ে মাথা নিচু করে
জড়োসড়ো হয়ে যাচ্ছ!
এটা তোমার কাজ নয়
বরং চোখে চোখ রাখো আর
চিৎকার করে জানতে চাও–
তাদের সমস্যাটা কি?
খারাপ অনুভব হলে
চিৎকার করে লোভ জড়ো করো,
একটানে তাদের মুখোশ খুলে দাও।
তুমি চুপ থাকলে ওদের স্পর্ধা
আরো আকাশ ছুঁয়ে যাবে!
মনে মনে তোমার সর্বনাশের ছক কষবে,
সুযোগের অপেক্ষা করবে!
তোমরা ভুলে যেও না
এ পৃথিবীর অর্ধেক আকাশ তোমার অধিকারে।
তুমিও মানুষ নামক প্রাণীর একজন,
তোমারও পথ চলার অধিকার আছে,
তোমারও তাদের মতো বাঁচার অধিকার আছে।
তোমার চলার পথে যারা বাঁধা সৃষ্টি করবে
প্রয়োজনে তাদের কানে কষিয়ে থাপ্পড় বসাও–
সে যে বয়সের হোক না কেন,
যে গোত্রের হোক না কেন
অপরাধীর একমাত্র পরিচয় অপরাধী,
অপরাধের ক্ষমা নেই।
অনেক ভয় পেয়েছো নারী,
এবার ভয়কে জয় করো,
প্রয়োজনে দশভূজা হয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নাও
মানুষরূপী মহিষাসুর বধ করতে আর দ্বিধা নয়,
তুমি পারবে, তোমাকে পারতেই হবে!
তোমার পথের যতো অশুভ বাঁধা সরিয়ে
তোমাকে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে হবে,
তাই পিছুপা হয়ো না নারী,
তোমাকে আরো সাহসী হতে হবে।