কিছুটা অবাধ্য অথচ মোহময়ী– টান
নিঃশব্দে লালন করে চলে
আমার সর্বোপরি জীবনের নৈঃশব্দ,
আশাহত কিছু চাওয়ার রঙচটা ক্ষণ
এখনো যন্ত্রণায় পাখা ঝাপটায়
হৃদয়ের পাটাতনে;
অথচ গলা আর পাঁজরের মাঝ বরাবর
একটা অদৃশ্য দেওয়াল,
যেন ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মুখের মতো শান্ত!
অথচ বিপুল ধ্বংসাত্মক সম্ভাবনা পুষে রাখে
মুখে-বুকে।
ভালোবাসার বসন্তকাল নাকি এসেছিল–
কোন এক বিপ্লবী চেতনায়,
প্রণয়ের কামসূত্র ছিল
তীরের ফলায় মাখানো মারন বিষ সম!
নিভৃতে নেকড়ের মত ঝাঁপিয়ে পড়া লাম্পট্য
ছিন্নভিন্ন করে দিল এক লহমায়
ইন্দ্রিয়ের সাজানো উপর্যুপরি চেতনাকে;
নেমে এল অভিসম্পাত,
শিকলবদ্ধ জীবনের প্রতিটা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে
কামিনী সংঘাতের।
শরীর সর্বস্ব জিওন কাঠির মত
নিশ্চল অমানিশায়
কাঁধে চাপানো সমাজ সংসার;
বদলে যাওয়া পরিচয়–
নামের অদ্যাক্ষর ডাইনে বামে,
এলেবেলে উপমায়!
বদলে যাওয়া শিক্ষার সনদ থেকে নাগরিকের ভিন্নতায়।
নাগপাশে বন্দী অথচ আলয়ে প্রদীপ জ্বালানো সত্তা,
তিরোস্কৃত হয় বারবার–
হতাশা গ্লানি আর অনুচ্চারিত ব্যর্থতা
যেন চারপাশে ভিড় করে অট্টহাসিতে!
রাত্রির শয্যায় স্বপ্ন কাঁদে ফিরে ফিরে
হারায় রাশি রাশি তার,
ফেরেনা তিল সম সে পূর্ণতা;
চোখের কোণে লেগে থাকা পিচুটির মতো
আমার স্বপ্নেরা ও জমে যাওয়া আমার অন্তঃচক্ষে;
মুছে দেওয়া সব ইচ্ছাই যে মৃতপ্রায় সন্ধ্যা,
নীল গগন জুড়ে সন্ধ্যার মায়া,
ছোট বড় তারায় চিকচিক করে ওঠা ভাঙা স্বপ্নে
চিকচিকে শুকনো অশ্রু কণা!
আমি হয়তো নদী হতে চেয়েছিলাম
নয়তো আকাশ,
নয়তো সন্ধ্যা তারা হয়ে
যুগ যুগ জ্বলে থাকা অমানিবাস!
হলো না–কেবল হলো না,
কারণ ইচ্ছের মৃত্যু হলে সব আকাঙ্ক্ষা
ঝরে যায় পর্ণমোচী বৃক্ষের মতো
নিঃশব্দে!
নিঃসীম শূন্যতায়
আরবার ফিরে আসার প্রতিজ্ঞায়,
এই পৃথিবীর বুকে– বাংলায়
মেয়ে নয়– মানুষ হয়ে
আবারো তৃপ্তির বাসনায়!!