মনে করো আমি হাঁটছি–
সামনে ওই দিগন্ত রেখার দিকে,
হেঁটে যাচ্ছি, হয়তো যেতে হবে তাই!
অনেক মায়া অনেক ছায়া মাড়িয়ে,
সাথে নিয়ে অজস্র স্মৃতি,
ভালোলাগা, ভালোবাসা, বিস্ময়;
শৈশব কৈশোর যৌবন নিয়ে,
অনেক ব্যর্থতা নিয়ে
সীমাহীন ভুলের সন্তাপ নিয়ে–
রাশি রাশি বাসনার স্তূপে!
গ্ৰহ নক্ষত্র নীহারিকা ছায়াপথে
মাখামাখি আমার ছেলেবেলা,
আমার নাড়ির বন্ধন,
হৃদয়ের টান;
প্রেমের আসক্তি
ভালোবাসার মোহ নিয়ে
হাঁটছি; হাঁটছি মান্ধাতার যুগ হতে
শত প্রেয়সীর ঘুঙুরের পায়ের ছন্দে;
ঝাড়বাতি হতে নিয়নের টুনি আলোর ইতি উতি–
দেবদাস চন্দ্রমুখী কিংবা আনারকলি,
মুমতাজ, ক্লিওপেট্রা, সেলিমের
হৃদয়ের কান্নায় মোড়া সভ্যতার বেদনা নিয়ে;
আমি হেঁটে চলেছি সম্মুখে,
ঠিক ঐ সাত সমুদ্রের শেষ সীমানায়,
যেখানে সন্ধ্যা তারা আজও অপেক্ষায়
নীলসাগর ছুঁয়ে অসীম শূন্যতা পেরিয়ে
নিবিড় সন্ধ্যায়;
যেতে হবে জানি, ওই সন্মুখে–
সে অবারিত দ্বারে;
রেখে শুধু তোমাদের কাছে
আমার শাশ্বত সরল এই ছেলেবেলা!!