একটা ট্রেন পুড়ছে!
ট্রেনের কামরা পুড়ছে!
বন্দী কামরায় মানুষ পুড়ছে!
গোটা দেশ দেখলো,
গোটা পৃথিবী দেখলো!
অথচ কে পোড়ালো– এটাই প্রশ্ন?
কেন পোড়ালো?
যেখানে ইজরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে
সরব মানুষ
সেখানে ফিলিস্তিনের চেয়ে নারকীয়তা'য়–
কোন্ অংশে, কতটা কম ছিল?
ধর্মের কারণে নাকি ফিলিস্তিন ছারখার হচ্ছে'–
আর যাত্রীবাহী চলন্ত ট্রেন পোড়ানোর কারণটা কি ছিল–
ধর্ম নাকি ক্ষমতা?
এর উত্তর দেবে কে?
আসলে গণতন্ত্র পোড়ানোর মহড়ায়
মেতেছে বিশ্ব,
মেতেছে প্রাচ্যের দেশ;
ক্ষমতার লোলুপ জিহ্বায় চেটে নিতে চাইছে
মানুষের বাঁচার অধিকার!
যেখানে ক্ষমতার চরম লিপ্সায়
জেগে উঠেছে
অন্তরে লালিত বিধ্বংসী আগ্নেয়গিরি,
সেখানে মানুষ নামধারী জীবের মনুষ্যত্ব কোথায়?
মানবতা কোথায়?
'ক্ষমতা' শব্দটি কি তাহলে
ভয়ংকর হিংস্রতার অপর একটি নাম?
যে চোখে মানুষ কেবল তুরুপের তাস!
তাকে মারো কাটো পোড়াও ছেড়ো–
কারো আছে দায়?
তাতে কার কি আসে যায়?
কেবল লাশের উপর ক্ষমতার গদি রাখা,
হাড়ে-কাঠে পার্থক্য কোথায়?
যারা গাড়ি-বাড়ি-ট্রেনের আদলে
পোড়ায় গণতন্ত্রের ছাল,
পোড়ায় মানুষের জান-মাল-সম্পদ!
ওরে ক্ষমতালোভী পাষন্ডের দল
আগে মানুষ হ
তারপর ধরিস– দেশের হাল!
মানুষ মেরে ক্ষমতা নিবি
এটাই ছিল গণতন্ত্র চাওয়ার ফল?
ধিক্কার জানাই– বার বার!
রক্তপিপাসু হায়েনার দল–
তোরা আগে মানুষ হ
তারপর ধরিস না হয় দেশের হাল,
এ যে ভীষন লজ্জা!
দেখি গণতন্ত্রের বীভৎস কঙ্কাল!!
(বেনাপোল এক্সপ্রেসে 🔥 এর পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত)