মানুষ যখন ভীষণ একা হয়ে যায়
পৃথিবীর সব কোলাহল, সান্ত্বনা
লোহার নিরেট বলের মতো
কঠিন ও নির্দয় মনে হয়।
বর্ষার আলপনা কিংবা রুপালি চন্দ্রিমার পর্দাও
উটের গ্রীবার মতোই দুঃসহ হয়ে ওঠে;
চন্দ্রলোকে নামে পাথরের কর্কশতা।
রাত্রির শয্যা কিংবা দিনের অভিপ্রেত–
ক্ষীণতর হয় দ্যোতনায়,
অভিসম্পাত জর্জরিত মনটা কেবল
সিক্ত হতে থাকে নোনা জলে–
কখনো পক্ষপাতে কখনো পক্ষপাত দুষ্ট হতাশায়;
নারী বা পুরুষ আলাদা কেউ কখনোই নয়,
একাকিত্বের যন্ত্রণায় সিগারেটের মতো করে
উদ্যম টানে পুড়ে যায়
সব আবৃত বাসনা;
পলকে পলকে জেগে ওঠে যে চোখ,
যে মুখের প্রতিচ্ছবি– বারবার ভেসে ওঠে পরম্পরায়
সে ওই যন্ত্রনারই আর এক নাম।।