তখনি নিজেকে নির্ভেজাল মনে হয়
যখন আমার গন্ডদেশ বেয়ে নামতে থাকে
অবাধ্য নোনা জল।
চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হলে
দেখতে পাই বেদনার কিনারে
টলমল করছে কয়েক ফোঁটা অশ্রু,
আর ফোঁটা কয়েক আর্সেনিক মুক্ত শিশিরের কণা।
সুতীব্র চিৎকার দাপাদাপি করতে থাকে
বুকের অন্দরমহল জুড়ে,
কেঁপে ওঠে ঠোঁট–
যেন সুপ্ত ভিসুভিয়াস মৃত্যু নগরীর বুকে,
বিলীন হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে
যেমন একবার নড়েচড়ে ওঠে।
ঘুমন্ত স্মৃতিসৌধ অথবা মিনারের গায়ে
কান পাতলেই
শুনতে পাই চাপা কিছু কান্না,
বেদনার অভিসম্পাতে যা ঘুমিয়ে ছিল–
নিদারুণ বিষন্নতায়!
তাই রাত্রির বুকে মুখ গুঁজে একবার
খুঁজতে থাকি কিছু মৃত আলোক ছটা,
কিছু এলোপাথাড়ি কান্না–
যার হাত ধরে জনারণ্য ছেড়ে
হওয়া যায় একা– নিঃসঙ্গ
আর নির্ভেজাল বোহেমিয়ান।।