নিঝুম রাত,
জ্যোৎস্নায় আলোকিত ধরাধাম,
তারারা জেগে,
আকাশে চন্দ্রাবিষ্ট গ্রহ নক্ষত্রপুঞ্জ ছায়াপথ,
শিরশিরে মৃদু বাতাস,
নদী কুলু কুলু যাচ্ছে বয়ে;
ফুলময় চারিপাশ, সুরভী ছড়ায়ে–
আমি বসে বাতায়নে
দেখছি, এক বিরল শোভা আমারি চারপাশে–
নৃত্যরতা এক অপ্সরার
খেয়ালী মেঘের মতো বিরামহীন নৃত্য!
নেপথ্যে মধুর সুরে ভেসে আসে গান,
যেন বিরহী সে আনকোরা;
হৃদয়ের মৃদঙ্গে, ক্রন্দন রাগে
যা দিয়ে যায় অনুপম ছায়া–
আমারই হৃদয় পরে!
দেখিনি তার আঁখি,
ছল ছল আঁখি পাতে–
অজানার কাতর বেদনা যেন আমাকে ঘিরে
অবুঝ বালিকার ন্যায়, চঞ্চলতায়
ঘূর্ণাবর্তে ঘোরাফেরা!
সে ছিল কান্নার, নাকি সুরমূর্ছনা
হৃদয়ের ঝঙ্কারে যায়নি চেনা তার;
শুধু জেনেছি, বিরহই পারে বিরহী চেনাতে,
খুঁজে নিতে শত বিরহী রে!
সেই জ্যোৎস্নায়
ব্যাথার দ্যোতনা আমার ছায়া ঘিরে,
ছিল কার বিরহে সে বেদনা?
কার বাসনায় উঠেছি কেঁদে,
কান্নার অনুরণন ছুঁয়ে?
ওই গাঙ্গুরের জলে ভেসে,
বেদানা হত বেহুলার মতো অবিচলে
গেছি ভেসে বিধুর সে সুরস্রোতে!!