এখনো তোমাকে ঠিক তেমনি করেই মনে পড়ে,
এই ধরো পড়ন্ত বিকেলবেলায় শেষ আলোটা যখন
অসম্ভব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে,
শৃংখলাবদ্ধ উড়ন্ত পাখির একটা ঝাঁক
উড়ে যায় মাথার উপর দিয়ে
ঠিক তখনি তোমাকে ভীষণরকম মনে পড়ে!
আমার ছাদ বাগানের সন্ধ্যা রানী ফুলগুলো যখন
পাপড়ি মেলতে শুরু করে
মনে হয় ধীরে ধীরে চোখ মেলছে
তোমার প্রেমাদ্র দুটো চোখ।
আকাশের কোণের এক চিলতে কারুকার্য মেঘ
কতো বিস্ময়কর ছবি আঁকে!
বিষন্ন সন্ধ্যাটা ও ঘনিয়ে আসে
তোমার আর আমার বিচ্ছেদের মতোই
দিন আর রাত্রির ব্যবধান নিয়ে,
মনে হয় নির্বাসিত আমি
কোন এক নির্জন দ্বীপে–
অথচ দেখো দিব্যি বেঁচে আছি!
সেদিনের মতো ব্যথার তীব্রতা টাও ঠিক
গ্রীষ্মের আধা শুষ্ক নদী যেমন।
আসলে সময়ই সবচেয়ে বড় প্রলেপ!
ছাদ বাগানের জুঁইয়ের গন্ধ
আর বিদগ্ধ স্মৃতি যখন মিশে যায়,
যেন প্রতিটা মুহূর্তের ভালোলাগা গুলোও চিকচিক করে ওঠে
তোমার মুখের মতো
তোমার আদল ঠোঁটের মতো
ঠিক তেমনি করে!
এখন আর সকালের প্রথম সূর্যোদয় টা
তেমন করে দেখতে পাই না,
যেন নির্বাক পুকুরের বুকে কিছু হিজিবিজি আলোর দাগ–
হয়তো সেটা একান্তই আমার!
দুপুরের খেয়ালে ক্যামেলিয়া শুনতে শুনতে
ঘুমিয়ে যাওয়া!
এখন আর ঘুমটা আসে না তেমন করে
আসে কিছু এলোপাথাড়ি স্মৃতির
পাল্টানো এলবামের দীর্ঘশ্বাসে!
আর রাত্রিটা– থাক কি হবে সে কথা বলে?
কে শুনবে, কার আছে এত বেশি সময়?
শুধু জানি নীরব অশ্রু আমার
শিশিরের কণা হয়ে ঝরে
বিষন্ন পৃথিবীর ঘাস পাতা ছুঁয়ে,
জানে শুধু এ ধরনীর প্রতিটা ধূলিকণা,
জানে আমার অশ্রুসিক্ত দুটো চোখ
আর জানে আমার একান্ত অন্তর্যামী সে!!