অভিমান কেন করো?
তুমি বোধহয় জানো না
অভিমান করার জন্যও প্রয়োজন অভিমানীর,
অভিমান বোঝার মত একটা হৃদয়ের!
তুমি হয়তো জানো না
কংক্রিটের দেয়ালে অভিমানের দাগ এঁকে
যন্ত্রণার ছবিটা ফোটানো গেলেও
সেটা জীবন্ত হয়ে ওঠে না কোন কালে –
রোদে পুড়ে, জলে ভিজে, সময়ের দৌরাত্ম্যে
ফ্যাকাশে হতে হতে একসময়
একটা কিমাকার দৈত্যের অবয়ব হয়ে
হয়তো তোমাকেও নিষ্প্রাণ করে দেবে
ওদের মতো;
তাই অভিমান করো না,
কারণ অভিমান বোঝার মতো
মন বা সময় এখন কারো কাছে নেই!
সময়ের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে
হৃদয়ের অনুভূতিরা;
অধিকাংশ ইন্দ্রিয়–
যা একান্ত গোপন পরিকাঠামোর অদৃশ্য উপস্থিতির সংবেদনী অবয়ব;
শৈশব পেরোলেই যেখানে
আত্মা হয়ে ওঠে বৈষয়িক
ঊর্ধ্বশ্বাসের ইঁদুর দৌড়!
তাই অভিমান করো না!
পারলে অভিনয় করো
ঠিক ওদের মতোই–
বাইরে, ওদের নাগালে, স্পর্শে,
শুধু তোমার ভিতরে জেগে থাকা
ওই শিশুটাকে আগলে রেখে;
কারণ ও যে বড়োই স্পর্শকাতর,
বড়োই অভিমানী!!