সেতু
নরেশ পাটঘরা
পিঠে করে সুখের ঠিকানায়
পৌঁছে দেওয়া আমার কাজ।
বুকের মধ্যে ছোট ছোট দুঃখ গুলো
নুড়ি পাথর হয়ে চেপে বসে আছে
ঠিক হৃদয়ের মাঝখানে।
বারো মাস অন্ধকারের মধ্যদিয়ে ছুটছি
আলো দেখবো বলে,
কিছুতেই পৌঁছাতে পারছিনা।
যারা ছিলো হৃদয়ের কাছাকাছি
তারা আজ সুখ বিলাসী
ঘর বেঁধেছে সুখের ঠিকানায়।
সেই কোন ছেলেবেলা থেকে
অবহেলায় বড় হতে হতে
নিঃসঙ্গতা ,অন্ধকার ,একাকিত্ব
প্রেমহীনতা, বহমান সময়
আমার কানে কানে বললো,
আমরা সবাই তোমার সঙ্গে আছি
কখনো তোমাকে ছেড়ে যাব না।
সবার বোঝা বইতে বইতে যখন
ক্লান্ত হয়ে শরীর ঝুঁকে পড়ে
তখন মরীচিকাময় ভালোবাসা
হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকে
যতই ছুটি কাছে যেতে পারিনা
হুমড়ি খেয়ে পড়ি।
দেখি মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে
হাসিমুখে আমাকে দুই হাতের
কোমল স্পর্শের ভালোবাসা দেবে বলে ।
ভেঙে পড়ছে বুকের ভগ্ন বাঁশের সেতু
সমস্ত চিহ্ন মুছে যাচ্ছে
মহাকালের স্রোতে ।
শুধু ভালোবাসাটা রেখে গেলাম
অতৃপ্ত আছে বলে
পৃথিবীর মায়া কাটাতে পারছে না ।