অমরাবতী
নরেশ পাটঘরা

একদিন খুব ভোর বেলা
ঘুম থেকে উঠে স্নান করে
পূজার থালি সাজিয়ে
ঈশ্বরকে দুহাত জোড় করে বললাম,
হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর
তুমি আমাকে এমন একটা পৃথিবী দাও
যেখানে দুঃখ নেই ,যন্ত্রনা নেই ,
অভাব নেই, অশান্তি নেই ,
ভালোবাসায় বিচ্ছেদ নেই.......

ভগবান এক গাল হেসে
আমাকে বললো,
এমন পৃথিবী আমি আজও
তৈরি করতে পারিনি ,
তুই কি ধর্ম গ্রন্থ পড়েছিস ?
আমি নিজে শান্তির জন্য
কতবার অস্ত্র হাতে নিয়েছি।
আমরা দেবতারা দিনরাত
মারামারি করছি।
একবার পড় রামায়ণ ,মহাভারত
পুরান তখন বুঝতে পারবি।

আমি বললাম
তাহলে ভগবান আমরা
তোমায় ডাকি কেন শান্তির জন্য?

- একটা কথা তোদের বোঝাতে পারিনা ।
তোরা আমাকে এত ডাকাডাকি করিস না ।
আমি যদি একবার ডাকি,
বুঝতে পারছিস কি হবে তোদের ?
মর্তের সব পাট চুকিয়ে
চলে আসতে হবে আমার কাছে
হরিনাম শুনতে শুনতে।

তার চেয়ে এক কাজ কর,
ধর্ম ধর্ম না করে
জাতপাত ,পৈতে, টিকি, তিলক ,মালা
এসব ভুলে
কর্ম কর ,তখন দেখবি
আমার নিজের হাতে গড়া
তোর জন্য এক অসামান্য
অমরাবতী সাজিয়ে রেখেছি।