৪২৮)
বর্ষার জল পেলে শামুক,
একটু তো দেয়ালের ধার ঘেঁষে বাইবে
সাবধানে ফেলো পা
নইলে ঝলকে ঝলকে বেরোবে রক্ত
বলা যায় এও এক পোড়া ঘা খোলসের কারণে।
চাপা শোক ঝেড়ে ফেলে হও যদি মুক্ত
মন্দের অভিযোগ করে আর কী হবে?
জেনে রেখো বাঁকা পথ কখনোই হয় না দীর্ঘ।
-------------------------------
৪২৯)
পাড়া ছেড়ে প্রান্তর সবকিছু সুন্দর ভাবলেই সমাধান
অথচ আমরাই মেলে দিই কতশত না পাওয়া খতিয়ান সামনে!
হয়তো বলা বলি বৈঠার বহমান এ হিসাব মেলানো শক্ত
কী জানি কেন এতো অন্ধ ভক্ত?ক্ষয় হোক একটুও চাই না!
কতজন মৌন সন্ধ্যায় রূপ কথা গল্প আঁকতে ব্যস্ত?
ভাবি না বিস্তৃতি যেরকম হয় হোক একবার ধরবোই ধরবো।
-------------------------------------------
৪৩০)
দেখছো তো কিভাবে মোমবাতি খুঁজতে ওরা আজ ব্যাস্ত? হয়তো বা হয়ে গেছে অন্ধ
হাত পাতা কারিগর হয় বুঝি এমনি?--বলা তবু যাবে না মন্দ!
কারা যেন কবি সব?মঞ্চে উঠতো রোজ রোজ
দেখবেন ওরাও শীতঘুমে এভাবে বরাবরই থাকবে নিখোঁজ
এরপরেও আমরা দেখবো--অজগর বাঁকা পথ ঢুঁড়ছে ঢুঁড়বে!
যাইহোক নিলে বাঁশ কুলশীল স্বভাবে,আছলা নির্ঘাত ঢুকবেই ঢুকবে
খুব একটা বাকি নেই সেদিনের,গারদের দরবার ক্রমশঃ উজ্জ্বল হচ্ছে।
-------------------------------------------
৪৩১)
ঢেঁকুরের এতো জোর বুঝিনি
মনে হলো বদহজম হয়েছে
লালি পপ দেখিয়ে বেশরম
খাজানার দরদাম তুলছে।
এরচেয়ে ভালো ঐ ও বাজার
গতরের পসরা সাজিয়ে
খেটেখুটে যে টুকু যা পাচ্ছে
ঠক বাজ কে তাদের বলবে?
------------------------------------
৪৩২)
তুমি তো বলেছিল একটু প্রাইভেসি থাকে তো সকলের
একদিন আলুথালু দরজার চৌকাঠ চুরমার
জানালার ভেজা চুল সব শেষ।
এখন গান গাওয়া নেই আর কোকিলের বসতে
রসেভরা জমিটা ফুটিফাটা হয়ে গেছে খরাতে!
অথচ সাধ ছিল বাসবে ভালো--
শুনছো কী বেদনার আর্তি?বুক জল বড় ভার বোঝে কে?
স্রোত নেই কিছু নেই ধূসর এক বালুচর ভরেছে।
---------------------------------------
৪৩৩)
বলতে পারেন কেউ কি ভেবেছিল--
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ও জমা হবে এতো এতো জঞ্জাল?
অথচ ক্রমশঃ রথের চাকা ডুবছে
তবু চাই একটা না একটা শ্রীখন্ডী ঢাল!
আসলে কেউ কাউকে বাঁচাতে পারে না
যেটুকু যা হচ্ছে,মনে হয় তা ইহজন্ম কিংবা পূর্ব জন্মের ফল।
তাই কান্না নয় চাই সুষ্ঠু সংকল্পের এক একটি পৃষ্ঠা উন্মোচন
যতোই না থাকুক কুরুক্ষেত্রের মতো প্রশস্ত মাঠ
পালা বদল ঠিক ঘটবেই ঘটবে।
-------------------------------------------
-৩০/৪/২৪-অবুঝ মন -