৪১৫)
নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টায়
এই যে আমরা দুমদাম কাউকে দিচ্ছি শূলেতে চড়িয়ে
তাজমহল নির্মাণ করেও কি পেয়েছে শাহাজান সব সুখ ছিনিয়ে নিতে?
জেনে রেখো ছায়া ও প্রতিদিন আমাদের পথ ঘাট চলাচল মাপছে
সুতরাং সময় থাকতে থাকতে কর্মে ও ধর্মে বুক জল শুকিয়ে
দেখো পারো কী না নিজেদের একবার শুধরিয়ে নিতে।
----------------
৪১৬)
বুড়ি ছুঁয়ে ভাগ নিয়ে কী লাভ?
তোতাও রোজ রোজ বলছে
ক্রমশঃ স্পষ্ট হচ্ছে দেওয়ালের লিখনে
মাটিতে পা রেখে বলছি সময়ের ভাউচার প্রস্তুত
প্রিয়জন না থাক,প্রয়োজন হতে আর বাঁধা নেই
সব দিন বসন্ত থাকে কি?করুণার পাত্র মোটেও না
দেখো চেয়ে কতশত ঝোপঝাড় গুল্ম পাথরে জমছে।
--------------------
৪১৭)
হয়তো গল্পে কালাকাঁদ হয়ে ওঠা হয়নি
উৎসাহে কতদিন ভাসারোদ মেখেছি!
এই তোর হলো কী খ্যাতিমান কীর্তির?
খেদানোর চেয়ে যা কম নয় বলবো!
তবু চাই মোটা ভাত পড়ে থাক হাঁড়িতে
গলনের প্রভাবে এমনিতেই ফ্যান তো ঝরবে
আহ্ কী ঠান্ডা পরিবেশ!হাওয়াও চুপচাপ শান্ত!
মেঘ নেই কিছু নেই কোথাও!একেবারে উদাসীন এ বিকেল।
---------------------
৪১৮)
দেখছো তো কিভাবে মোমবাতি খুঁজতে ওরা আজ ব্যাস্ত?হয়তোবা হয়ে গেছে অন্ধ
হাত পাতা কারিগর হয় বুঝি এমনি?--বলা তবু যাবে না মন্দ!
কারা যেন কবি সব?মঞ্চে উঠতো রোজ রোজ
দেখবেন ওরাও শীতঘুমে এভাবে বরাবরই থাকবে নিখোঁজ
এরপরেও আমরা দেখবো--অজগর বাঁকা পথ ঢুঁড়ছে ঢুঁড়বে!
যাইহোক নিলে বাঁশ কুলশীল স্বভাবে,আছলা নির্ঘাত ঢুকবেই ঢুকবে
খুব একটা বাকি নেই সেদিনের,গারদের দরবার ক্রমশঃ উজ্জ্বল হচ্ছে।
---------------------
৪১৯)
চোর গুলো যারা আজ
ভাবে বসে সাধু
বুঝবে বুঝবে সময় হলে
কে কেমন চাঁদু
এর চেয়ে বলা ভালো
জোচ্চোর বাটপার
যে যেমন বাঁশ ঝাড়
তেমনি গুণমান নির্ভর
ক্ষতি তো যা হবার হচ্ছে--
মানুষের আর কার?
--------------------
২৬/৪/২৪-অবুঝ মন -