ছোট্ট একটা বাসার মাথায়
এক চিলতে ঘর,
ছোট্ট ঘরে তাজা হাওয়া
খেলছে নিরন্তর ;
চাঁদ যে সেথা ছাদের পরে
জ্যোৎস্না ঢালে উজাড় কোরে-
ভোরের পাখি গান গেয়ে যায়
সারা বছর ভর!
আমার বাড়ির ছাদের কোণায়
চিলেকোঠার ঘর |
সকাল থেকে রাত্রি বেলা
সেই ঘরেতে বসে,
গল্প শুনি গল্প করি
প্রাণের সখার সাথে ;
ছাদের ভাঙা রেলিং বেয়ে
মাধবীলতা আছে ছেয়ে-
মিষ্টি ফুলের গন্ধ ভাসে
আমার প্রাণের পর,
সুখের দুখের পরম পাওয়া
চিলেকোঠার ঘর |
শীতের দিনে দুপুরবেলা
চিলেকোঠার পাশে,
রোদ সেঁকে যায় কাগজ হাতে
মাদুর পেতে বসে ;
ছোট্ট ছাদের ধারে ধারে
কাঠবেড়ালি খেলা করে -
ছোট্ট আমার জগৎটাতে
নেইকো আপন পর!
নির্জনেতে আপনারে পায়
চিলেকোঠার ঘর |
বর্ষা মুখর শ্রাবণ দিনে
কল্পনা জাল বোনা,
আকাশ পানে তাকিয়ে দেখি
মেঘের আনাগোনা ;
টবের উপর ফুলের গাছে
ছাদের কোণা ভরে আছে -
বর্ষা সেথা ঢালছে বারি
অঝোর অকাতর!
মুগ্ধ চোখে বর্ষা ভিজে
চিলেকোঠার ঘর |
শিউলি ফুলের তাজা সুবাস
বাতাসে ভর কোরে,
বয়ে আনে পূজার গন্ধ
চিলেকোঠার ঘরে ;
সাদা কাশের বনে বনে
পূজার ঢাকের বাদ্য শুনে -
প্রাণের মাঝে পুলক জাগে
শুধুই নিরন্তর!
আমি নিজের মাঝেই খুঁজে ফিরি
চিলেকোঠার ঘর |